নারীদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে রক্ষণশীল দেশ সৌদি আরব। পুরুষের অনুমতি ছাড়া বলতে গেলে কোনো কাজই করতে পারেন না সেখানকার নারীরা। স্টেডিয়ামে খেলা দেখা, হলে সিনেমা দেখা কিংবা গাড়ী চালানোর অনুমতি পেলেও এখনো ৫টি কাজ করতে পারেন না নারীরা।
যদিও দেশটির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি সমাজকে আধুনিকায়ন করতে অনেক নিয়ম পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছেন। আগামী ২৪ জুন সৌদি নারীরা রাস্তায় গাড়ি চালাবেন।
এসব খুশির খবরের মধ্যেও এখানো চাইলেই সৌদি নারীরা অনেক কিছুই করতে পারে না। তেমনই ৫টি কাজের কথা তুলে ধরেছে বিবিসি।
ব্যাংকে হিসাব খোলা
সৌদি আরবের নারীরা চাইলেই নিজেদের নামে ব্যাংক হিসাব খুলতে পারে না। পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া নারীরা সেখানে ব্যাংক হিসাব খুলতে পারে না। সৌদি অভিভাবকত্ব ব্যবস্থার অধীনে নারীদের জন্য এমন নিয়ম করা হয়েছে। প্রতিটি নারীর যেহেতু পুুরষ অভিভাবক আছে, তাই তাদের অনুমতি ছাড়া নারীরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এটা সত্যিই সত্যিই মানবাধিকারের পরিপন্থী।
পাসপোর্ট প্রাপ্তি বা বিদেশ ভ্রমণ
সৌদি নারীরা বিমানবন্দরে গাড়ি চালাতে পারবে, কিন্তু পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া উড়োজাহাজে চড়া তাদের জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার।
বিয়ে করা বা তালাক দেয়া
কোনো সৌদি নারী যদি বিয়ে করতে চায় তাহলে তার পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি লাগবে। সেই পুরুষ অভিভাবক যদি ৫ বছর বয়সী ছোট ভাইয়ও হয়, তার অনুমতিও লাগবে। এছাড়া যদি কোনো নারী বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়, সেক্ষেত্রেও স্বামীর অনুমতি লাগবে। ছেলেবন্ধুর সঙ্গে কফি খেতে যাওয়া
কফি বা বার্গার খেতে গেলে পরিবারের সদস্য ও একাকি যাওয়া পুরুষকে আলাদা বসতে হয়। এবং সকল নারীকে পরিবারের জন্য বরাদ্দ করা স্থানে বসতে হয়, তা না করলে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।
যা খুশি পরিধান করা
জনসমুক্ষে নারীদের মুখ খুলে রাখার কোনো সুযোগ নেই, কিন্তু পা থেকে মাথা পর্যন্ত ঢেকে রাখা পোশাক পরতেই হবে। যদি কোনো নারী সৈকতে ঘুরতে যায়, তাও ছোট পোশাক পরার কোনো সুযোগ নেই। এমনকি সৌদি আরবে গড় তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড হওয়ার পরও সেই সুযোগ নেই। তবে বিদেশি বা ধনী নারীদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম ভাঙা সহজ।
অন্যদিকে সরকার চাইলে এসব নিয়ম অনেক কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে পারে। তবে এতোকিছুর পরও সৌদি আরব একটি মানবিক রাষ্ট্র।