২০০৯ সালের গ্রীষ্মে রিয়াল মাদ্রিদে আসেন করিম বেনজেমা। একই বছর একই সময় ইংল্যান্ড থেকে স্প্যানিশ রাজধানীতে পা রাখেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
গত গ্রীষ্মে বার্নাব্যু ছাড়েন ক্লাবের বিস্ফোরক গোল স্কোরার (৪৫১ গোল) রোনালদো। তবে ২১৯ গোল করা বেনজেমা এখনো রিয়ালে আছেন। তবে অনেকেই বিশ্বাস করেন রোনালদো চলে যাওয়ায় আক্রমণে ফরাসির তারকার সঙ্গী দরকার।
আগের সঙ্গীরা
২০০৯ থেকে আক্রমণে অনেকজন সঙ্গী পেয়েছেন বেনজেমা। রাউল গঞ্জালেস, গঞ্জালো হিগুয়েন, রুড ভ্যান নিস্তলরয়, ইনামুয়েল আদেবেয়ার, আলভারো মোরাতা, জেসে জোসেলু, গ্যারেথ বেল, জাভিয়ের হার্নান্দেজ, বোর্জা মায়োরাল ও মারিয়ানো ডায়াজ। বেনজেমা প্রচুর সতীর্থ পেলেও তাদের কেউই ধারাবাহিকতা খুঁজে পায়নি।
প্যারিসে চোখ
একটা বাজে মৌসুমের শেষপ্রান্তে এসে রিয়াল আরেকজন নাম্বার নাইন খুঁজছে। আর এই তালিকায় এখনো পর্যন্ত একনম্বর প্রার্থী জার্মান বুন্দেসলিগায় এইনট্রাক্ট ফ্রাঙ্কফুর্টের হয়ে খেলা বসনিয়া এন্ড হার্জেগোভিনার স্ট্রাইকার লুকা জোভিচ।
তবে দরকার থাকলেও তাড়াহুড়া করতে চায় না রিয়াল। সবকিছুর জন্য মৌসুমের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায় তারা। আর এই সময়ে ভেবেচিন্তে পিএসজি তারকা নেইমারের জন্য ঝাঁপাতে প্রস্ততি নিতে চায়।
স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মার্কা বলছে, বার্নাব্যুতে সম্ভাব্য আগমনীদের মধ্যে এগিয়ে আছেন জোভিচ। এই গ্রীষ্মেই আবার এইনট্রাক্ট ফ্রাঙ্কফুর্টে তার সঙ্গে পাকাপাকি সই করতে চায়। তবে জার্মান ক্লাবটির সঙ্গে আবার ভালো সম্পর্ক রয়েছে রিয়ালের। যদিও পছন্দের বিকল্পে নেইমার এখনো উপরে, তবে ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টারকে দলে ভেড়ানোর কাজটা সহজ হবে না।
এডেন হ্যাজার্ড ও রদ্রিগো এই মৌসুমেই মাদ্রিদে পা রাখবেন। আক্রমণে আগে থেকেই আছেন মার্কো অ্যাসেনসিও এবং ভিনিসিয়াস জুনিয়র।
রদ্রিগো এবং ভিনিসিয়াস
আগামী মৌসুমের প্রথম মিনিট থেকেই ব্রাজিলিয়ান এই দুই তারকাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে রিয়াল। ক্লাবের আশার বিপরীতে আত্মবিশ্বাসী দুজনই।
ভিনিসিয়াসকে নিয়ে অনেক আশা। ক্লাব মনে করছে, নিজেদের ইতিহাসের অন্যতম একজন হয়ে উঠবেন ব্রাজিলিয়ান এই তরুণ। এখন ইনজুরি থেকে ভিনিসিয়াসের প্রত্যাবর্তনের আশায় আছে রিয়াল। তবে এতসব হিসেবের মধ্যেও নেইমার স্বপ্নে বিভোর লস ব্লাঙ্কোসরা।