অভিজিৎ হত্যাকান্ডের সন্দেহভাজন আরো ১১ জনের তালিকা নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে ডিবি। ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু হত্যা এবং অভিজিৎ হত্যাকারীরা একই গ্রুপের কি না তাও জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।
অভিজিৎ হত্যার অন্যতম সন্দেহভাজন, উগ্রবাদী ব্লগার সাইফুর রহমান ফারাবীকে গ্রেফতারের পর হত্যায় উস্কানি দেয়ার প্রমাণ পান তদন্তকারী গোয়েন্দা কর্মকর্তরা। তাদের ধারণা ফারাবী কিলিং মিশনে অংশ নিয়েছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া যাবে প্রধান সন্দেহভাজন, আরক জঙ্গিবাদি ব্লগার রেদোয়ানুন আজাদ রানাকে গ্রেফতারের পর। এছাড়াও আরো কয়েকজন সন্দেহভাজনকে আটকের চেষ্টা করছেন তারা।
ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মোঃ মনিরুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, অভিজিতের সম্ভাব্য হত্যাকারীদের কয়েক জনের সম্পর্কে আমরা একটা ধারণা করেছি। তাদেরকে গ্রেপ্তার করা গেলে তারা জড়িত আছে কিনা তা আমরা নিশ্চিত হতে পারবো।
ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু হত্যা তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে দাবি ডিবির।
ওয়াশিকুরের হত্যার ঘটনায় আটককৃতরা অভিজিৎ হত্যার সাথেও সম্পৃক্ত ছিলো কিনা সে ব্যপারেও তদন্ত হচ্ছে জানিয়ে মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, “তিনজনকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় তারা সম্পৃক্ত এমন কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই।”
মোহাম্মদপুরে বিআরটিএ কর্মকর্তার স্ত্রী কৃষ্ণা কাবেরী হত্যার প্রধান সন্দেহভাজন শেযার ব্যবসায়ী পলাশকেও খুঁজছে গোয়েন্দারা। দু’একদিনের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বিআরটিএ কর্মকর্তা সিতাংশু বিশ্বাসকে।