এখনও অনেক প্রতিষ্ঠান এক অংকের বেশি সুদ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে আবাসন খাতের সংগঠন রিহ্যাব। সোমবার রাজধানীর সুন্দরবন হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সংগঠনটির সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন।
রিহ্যাব সভাপতি বলেন, ঋণের সুদ হার এক অংকে নামিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। যদিও অনেক প্রতিষ্ঠান এখনও এক অংকের বেশি সুদ নিচ্ছে। তবে এ বিষয়ে সরকারের আরো কঠোর নজরদারি দরকার।
তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে সরকারের নেয়া সিদ্ধান্তগুলো কার্যকর হলে আবাসন খাতে স্থবিরতা কিছুটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। অনেক নাগরিকের বাসস্থানের সংকুলান হবে।
আবাসনের জন্য বর্তমানে ১০ শতাংশ সুদ হারে একজন সরকারি কর্মচারী সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা ঋণ পাচ্ছেন। সম্প্রতি সরকারের নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সচিবরা ও জাতীয় বেতন স্কেলের পঞ্চম থেকে প্রথম গ্রেডভুক্তরা ২০ বছরের জন্য ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। আর ১৮ থেকে ২০ তম গ্রেডের কর্মচারীরা পাবেন ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত। এসব ঋণে সুদ ১০ শতাংশ হলেও এর মধ্যে ৫ শতাংশ সুদ পরিশোধ করবে সরকার আর বাকি ৫ শতাংশ শোধ করবে গ্রাহক। প্রায় ১২ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এই ঋণ সুবিধা পাবেন।
সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে রিহ্যাব সভাপতি বলেন, এর ফলে আবাসন খাতে গ্রাহক বাড়বে। ঋণ সুবিধা নিয়ে এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আবাসন খাতে আসবে। এতে এখাতের পাশাপাশি এর সাথে যুক্ত শিল্পখাতগুলোও চাঙ্গা হবে। তাই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দ্রুত পরিপত্র জারি করার আহ্বান জানা তিনি।
আবাসন খাতের বর্তমান পরিস্থিতি বিষয়ে আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, এখন বেচাকেনা মোটামুটি ভাল। তবে অনেক প্রতিকূলতার সাথে মোকাবিলা করে এ খাত টিকে আছে।
আবাসন খাতে সেকেন্ডারি মার্কেট চালুর অগ্রগতি বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিহ্যাব সভাপতি বলেন, সেকেন্ডারি মার্কেট বিষয়ে আমরা খুবই আশাবাদী। খুব দ্রুতই এ বিষয়ে সরকারের সম্মতি পাব বলে আশা করছি।
নির্বাচনী বছরে ব্যবসার পরিবেশ কেমন হওয়া দরকার জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে বলবো, আশাকরি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সরকার গঠন হবে। তবে আগের মত কোনো ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতা বা নৈরাজ্য চায় না ব্যবসায়ীরা।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির প্রথম সহসভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, সহসভাপতি আবুল কৈয়ুম চৌধুরী, আকরাম উল্লাহ ইমাম খান প্রমুখ।