ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাত্র ১২ মিনিট খেলেছেন অ্যালেক্সিস সানচেজ। এই সময়ে মাত্র একবার বলে লাথি মারতে পেরেছেন চিলিয়ান ফরোয়ার্ড। সেই লাথির জন্য বাড়তি ৮৬ হাজার ইউরো খরচ গুণতে হচ্ছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। বাংলাদেশি অর্থে যার মূল্য প্রায় ৮১ লাখ টাকা!
নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে গত বুধবার ২-০ গোলে হেরেছে ম্যানইউ। ‘যোগ্য প্রতিপক্ষের কাছে হেরেছি’ বলে হারের দায়টা ঘাড়ে তুলে নিয়েছেন রেড ডেভিল কোচ ওলে গানার সলশেয়ার।
হোসে মরিনহোর ভাঙাচোরা দলকে জোড়া লাগিয়ে আপদকালীন কোচ হিসেবে দারুণ শুরু করেছিলেন সলশেয়ার। ম্যানইউর ইতিহাসে প্রথম কোচ হিসেবে জিতেছিলেন শুরুর টানা ছয় ম্যাচ। কিন্তু কোচের পদটা স্থায়ী হতেই বিপদ দেখা শুরু করেছেন এ নরওয়েজিয়ান ভদ্রলোক। তার শুরুর সময় পল পগবা আর এখনকার পল পগবার মাঝে যেমন কোনো মিল খুঁজে পাচ্ছেন না, তেমনি অ্যালেক্সিস সানচেজের পেছনে অঢেল অর্থ ঢালার যুক্তিও তার কাছে অজানা!
বার্সেলোনার ফর্ম আর্সেনালে ধরে রাখায় হোসে মরিনহোর চোখে পড়েছিলেন সানচেজ। একজন নিখাদ স্ট্রাইকারের খোঁজে ৪৮ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে চিলিয়ান তারকাকে দলে টানে ম্যানইউ। সপ্তাহে ৪ লাখ পাউন্ড বেতন পাওয়া এ ফুটবলার বর্তমান দলটার সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পান!
সানচেজের পেছনে ম্যানইউর খরচ এখানেই শেষ নয়। প্রতি ম্যাচে নামার জন্য বাড়তি ৭৫ হাজার পাউন্ড বোনাস হিসেবে পান এ ফুটবলার। ম্যানসিটির বিপক্ষে মাত্র ১২ মিনিটের জন্য মাঠে নামানোয় সেই অর্থই গুণতে হচ্ছে রেড ডেভিলদের।
এত অর্থ পাচ্ছেন অথচ মাঠে ঠিক তার উল্টোটাই দিচ্ছেন সানচেজ। চোটের কারণে বেশিরভাগ সময় ডাগআউটে থাকছেন। যখন মাঠে নামছেন থাকছেন নিজের ছায়া হয়ে। নাম-পারফরম্যান্স, কোনো কিছুরই সঠিক ব্যবহার করতে পারছেন না!
চলতি মৌসুমটা কোনরকমে কাটিয়ে আগামী মৌসুমে হয়তো নতুন করে দল পুনর্গঠনে নামবেন সলশেয়ার। নতুন খেলোয়াড় কিনবেন, পুরনোদের কাউকে না কাউকে ছেড়ে দেবেন। সেই পুরনোদের মধ্যে সানচেজের থাকারই কথা! যা অবস্থা তাতে এরইমধ্যে দলে ব্যয়বহুল হাতিতে পরিণত হয়েছেন এ ফরোয়ার্ড। ছেড়ে দেয়া খেলোয়াড়দের তালিকা করলে কোপটা সবার আগে যে তার উপরেই পড়বে সেটা এখনই বলে দেয়া যায়!