ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের সমর্থক কত? তাদের জনসংখ্যার সমান বা তার একটু বেশি। সেটি ৬-৭ কোটি? এই সংখ্যাটা যদি এক রাতে লাফ দিয়ে তিন-চার গুণ বেড়ে যায়, তাহলে কেমন হবে? শুক্রবার রাতের পর সেটাই ঘটেছে! পুরো বাংলাদেশ যে এখন গলা ফাটাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের জয়ের প্রত্যাশায়।
শনিবার এজবাস্টনে অজিদের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নেমেছে ইংল্যান্ড। স্বাগতিকরা এই ম্যাচে জিতলেই সেমিতে চলে যাবে বাংলাদেশ। শুক্রবার নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক সেরে রেখেছে টাইগাররা। এজন্য ইংলিশদের মিলছে ১৬ কোটি নতুন সমর্থন।
কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের মহাকাব্যিক জয়ের পর গ্রুপ ‘এ’র হিসাব এখন সরলসোজা। কিউইরা তাদের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার বৈশ্বিক কোন টুর্নামেন্ট থেকে জয়হীনভাবে ছিটকে গেছে। ১ জয়, ১ হার এবং ১টি ফলহীন ম্যাচে টাইগারদের অর্জন ৩ পয়েন্ট। আছে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয়তে। বৃষ্টিতে নিজেদের দুটি ম্যাচ খেয়ে নেয়ায় অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২ পয়েন্ট। আর ৪ পয়েন্ট নিয়ে স্বাগতিক ইংল্যান্ড শীর্ষে, সবার আগে সেমির টিকিট কেটেছে তারা।
তাই সেমিতে যেতে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচের দিকে চাতক পাখির চোখ করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। ইংলিশরা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে দিতে পারলে প্রথমবারের মত কোন বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের সেমিতে পা রাখবে লাল-সবুজের দল। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাই আর একা নন ইংলিশ সমর্থকরা। পাশে পাচ্ছেন পুরো বাংলাদেশকে।
শুধু তাই নয়, অনেক প্রবাসী বাংলাদেশিরাও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাঠে গিয়ে ইংল্যান্ডকে সমর্থন জানানোর।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এবার নিজ দলকে সমর্থনের ক্ষেত্রে আলাদাভাবে নজর কেড়েছেন লাল-সবুজ প্রেমীরা। প্রতি ম্যাচেই গ্যালারীতে উপচে পড়েছে বাংলাদেশ-বাংলাদেশ তরঙ্গ। সেমির গণ্ডিতে পা ফেলতে পারলে বাংলাদেশের সেই সমর্থকদের ঢল যে সুনামিতে রূপ নেবে সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না।
টাইগারদের পালে হাওয়া যুগিয়েছে ইংলিশ দলপতি ইয়ন মরগানের বক্তব্যও। জানিয়েছেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের ছিটকে দেওয়ার সহজ মওকা ছাড়তে চায় না ইংল্যান্ড, ‘আমরা এ ম্যাচ নিয়ে সত্যিই সিরিয়াস। যদি এই টুর্নামেন্টে দাপটের সঙ্গে টিকে থাকতে হয়, তাহলে আমাদের সেরা দলগুলোকেই হারাতে হবে।’