বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলছে চ্যানেল আই ও সুরের ধারার যৌথ প্রযোজনার অনুষ্ঠান হাজারও কণ্ঠে বর্ষবরণ। অনুষ্ঠানে নেমেছে শিল্পীমনা মানুষের ঢল। সব বয়সী মানুষ এখানে নববর্ষের প্রথম প্রহরটা উদযাপন করতে এসেছে।
বাংলা সাহিত্যের পঞ্চ-কবির গান দিয়ে সাজানো হয়েছে এবারের নববর্ষের অনুষ্ঠান। পুরো দেশ থেকে নির্বাচিত একহাজার শিল্পীদের কণ্ঠে পরিবেশিত হয় গান। সুরের ধারার পর্ব শেষ হয় সমবেত কন্ঠে ‘এসো হে বৈশাখ’ গানের মাধ্যমে। এসময় দর্শকরাও গলা মেলান শিল্পীদের সাথে। এরপর মঞ্চে গান গেয়েছেন আইয়ুব বাচ্চু ও তার দল এলআরবি, কোনালসহ আরও অনেকে।
প্রবেশ পথে ছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ব্যাগ নিয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি কাউকে। দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে দেখা যায় আয়োজনের দর্শনার্থীদের। এত রোদে অপেক্ষা করলেও ক্লান্তি কিংবা বিরক্তি নয়, বরং আনন্দ ছিল সবার চোখে-মুখে।
আয়োজনের বিশেষ আকর্ষণ ছিল মেলা। দেশীয় খাবার, মুড়ি-মুড়কি, পোশাক, খেলনা সামগ্রী, বেলুন ইত্যাদি ছিল মেলায়। অনেকেই সেখানে সকালের নাস্তার কাজ সারছিলেন পিঠা খেয়ে। শিশুদের আগ্রহ ছিল বেলুনের প্রতি।
বাবা মায়ের সাথে পোশাক ম্যাচিং করে আসার ফ্যাশনটা এবার বেশ চোখে পড়ার মত ছিল। যারা সন্তান নিয়ে এসেছেন তাদের অনেকেই বাবা-মা-সন্তান রঙ মিলিয়ে পরেছেন। আবার যুগলরাও মিলিয়ে পরেছেন শাড়ি-পাঞ্জাবি।
মেলায় নাগরদোলা না থাকলে কি চলে? নাগরদোলার শব্দ মেলায় বাড়তি আনন্দ এনে দিয়েছে। বৈশাখের প্রথম দিনে নাগরদোলায় চড়ার জন্য শাড়ি বেঁধে অপেক্ষা করছিল অনেকেই।
শিশুদের খেলার জন্য ছিল ছোট থিম পার্ক। টিকেট কেটে অনেকেই সন্তানকে খেলার সুযোগ করে দিচ্ছিলেন সেখানে। শিশুরাও খেলার জন্য এমন যায়গা পেয়ে নববর্ষ উদযাপন করছিল আনন্দ নিয়ে।
মঙ্গল শোভাযাত্রা না থাকলে যেন আয়োজনটাই সম্পূর্ন হয় না। তাই মঙ্গল শোভাযাত্রাও ছিলো আয়োজনে। নানান রঙের মুখোশ আর বড় একটি বাঘ নিয়ে ঢোলের তালে চলছিল মঙ্গল শোভাযাত্রা। অতিথিদের সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল এই রঙিন শোভাযাত্রা।