বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে দুদকের করা মামলাগুলো আপিল বিভাগের নির্দেশে আবারও সচল হতে শুরু করেছে। সর্বশেষ অবৈধ সম্পদের মামলায় ফেনীর জয়নাল হাজারীকে খালাস দিয়ে দেওয়া রায় বাতিল করে নতুন করে আপিল শুনানি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার কার্যক্রম বিচারিক আদালতে চলবে বলেও আদেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
বহু ঘটনায় বিতর্কিত রাজনীতিবিদ জয়নাল আবেদীন হাজারীর বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের তত্ত্ববাধায়ক সরকারের সময়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। ২০০৮ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত এ মামলার রায়ে হাজারীকে ১০ বছরের কারাদন্ড এবং পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১১ সালে সাজা বাতিল করে আসামীকে খালাস দেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে দুদক লিভ টু আপিল করলে শুনানি শেষে আদেশ দেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আপিল বিভাগ হাজারীর খালাসের রায় বাতিল করেছে। এখন হাই কোর্টে তার করা আপিলের পুনঃশুনানি হবে।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবাধায়ক সরকারের সময়ে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধেও মামলা করে দুদক। মামলাটি নিম্ন আদালতে অভিযোগ গঠন পর্যায়ে থাকার সময়ে বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আসেন মির্জা আব্বাস।
২০১০ সালে মামলা বাতিল করে হাইকোর্ট রায় দিলে এর বিরুদ্ধে দুদক আপিল আবেদন করলে এ বিষয়েও আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
দুদকের একই ধরণের মামলায় এর আগে মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীকে খালাস দিয়ে দেওয়া রায় বাতিল করে আসামীর আপিল নতুন করে শুনানি করতে হাইকোর্টকে বলেছেন আপিল বিভাগ।