বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের পরপরই রচিত ও গাওয়া একুশের গানটি আজ একীভূত বাংলাদেশের আত্মপরিচয়ের সাথে। ষাটের দশকে শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে আল্পনা আঁকা শুরু করেন শিল্পীরা। আর একাত্তরে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের পর অমর একুশে পালনে শহিদ মিনারের পেছনে যুক্ত হয় স্বাধীনতার সূর্য।
বায়ান্নর রক্তাক্ত একুশে ফেব্রুয়ারির পরপরই গানটি রচনা করেন আব্দুল গাফফার চৌধুরী। গানটিতে প্রথম সুর করেছিলেন আব্দুল লতিফ, পরে আলতাফ মাহমুদ।
আলতাফ মাহমুদের সুরে গানটি প্রভাত ফেরিতে প্রথম গাওয়া হয় ১৯৫৪ সালে। বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা বাংলা গানের মর্যাদা পেয়েছে পঁয়ষট্টি বছর ধরে বাঙালির হৃদয়ে থাকা সেই গান ও সুর বলে জানিয়েছেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী।
গানের মতো বাঙালিত্বে মিশে আছে রঙিন আল্পনা। পাকিস্তানী সামরিক শাসনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ষাটের দশকেই নান্দনিক আল্পনায় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণ সজ্জিত করার শুরু।
অমর একুশের দিন স্মৃতির মিনারটি যে লাল সূর্যে দেদীপ্যমান থাকে তার শুরু বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বলে জানান মুস্তাফা মনোয়ার।
বাংলাদেশের গৌরবজ্জ্বল ইতিহাসের সাথে যুক্ত হয়ে আছে একুশের গান, একুশের আল্পনা আর শহিদ মিনারের মতো স্বাধীনতার প্রতিক টকটকে লাল সূর্য।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে