২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে অনলাইনে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির আবেদনে বিভ্রান্তিতে
আছে শিক্ষার্থীরা। অস্পষ্ট ধারণা নিয়ে আবেদন করে ভোগান্তিতে পড়ছে তারা।
অবশ্য আন্ত:শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি বলেছেন, কলেজ পছন্দের
ক্ষেত্রে দোদুল্যমান থাকার কারণেই শিক্ষার্থীদের সমস্যা হচ্ছে।
নটরডেমসহ আরো কয়েকটি কলেজ ছাড়া গত ২৬ মে থেকে সারাদেশে শুরু হয়েছে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীতে অনলাইন ও মুঠোফোনে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া। শুরুর দিনই ওয়েবসাইটে সমস্যা থাকায় বিপাকে পড়ে শিক্ষার্থীরা।
তারা বলেন, সারাদিন অনলাইনে বসে থেকেও কাজ শেষ করতে পারিনি। ম্যাসেজ পাঠালে ইনভ্যালিড আসে।
অভিভাবকদের অভিযোগের পর ওয়েবসাইটের সাময়িক ওই সমস্যা এখন আর নেই। তবে পুরো প্রক্রিয়া নিয়েই বিভ্রান্তিতে আছে শিক্ষার্থীরা। আরো অনেক সমস্যার কথা তুলে ধরেন তারা।
শিক্ষার্থীদের বক্তব্য, বিশটি কলেজে আমরা আবেদন করতে পারবো। দশটা অনলাইনে আর দশটা এসএমএসে। কিন্তু অনলাইনে আবেদনের পর আমরা এসএমএসে কিভাবে আবেদন করবো সেই বিষয়ে নির্দশনা নেই।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান বলেছেন, আবেদন করার আগে সিদ্ধান্তহীনতায় শিক্ষার্থীরা। এ কারণেই সমস্যাটা বেশি। ওরা বাড়ি থেকে আবেদনের কোনো প্রস্তুতি নিয়ে আসে না। ওখানে বসে বিভিন্ন কলেজের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে বেশি সময় ব্যয় করে। ভালো হয় যদি অভিভাবকেদের সঙ্গে কথা বলে আগে থেকেই সব কিছু ঠিকঠাক করে নিয়ে আসে।
চেয়ারম্যান আরো বলছেন, ভর্তির আগ্রহের তালিকায় শীর্ষ কয়েকটি কলেজ ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থীর পছন্দ থাকায় বিপাকে পড়েন তারা। সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার পরও কিছু ভুল থাকলে তা সংশোধনেরও সুযোগ আছে বলে জানান তিনি।