প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একাত্তরে মুক্তিকামী মানুষের ওপর যে বাঙালি অফিসাররা গুলি চালিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান তাদের মধ্যে ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে সেমিনারে প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক পদক্ষেপের স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, সত্তরের নির্বাচনে জয়ী হতে পাকিস্তানিরা যেমন বিশ দলীয় জোট গড়েছিলো তেমন জোট এখনও রয়েছে।
‘৭ই মার্চের ভাষণ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা’ শিরোনামে সেমিনার। আয়োজক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট্র। এমিরেটাস অধ্যাপক ডক্টর আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন মূল প্রবন্ধ পাঠ করার পর এ নিয়ে আলোচনা শেষে সভাপতির ভাষণ দেন ট্রাস্টের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্বাধিকার আন্দোলনের ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের স্মৃতিচারণ করেন। বলেন, যতবারই বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুনি ততবারই তা নতুন মনে হয়। সম্ভবত এর আবেদন আমাদের জীবতকালে কখনো ফুরাবে না এবং যুগযুগ ধরে এটি তার অবস্থান তৈরি করে নেয়া অব্যাহত রাখবে।
১৯৭১ সালের ২৫ ও ২৬ মার্চের ঘটনাবলী স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, সেনানিবাস থেকে একজন স্কুটার চালক তাদের কাছে একজন বাবুর্চির একটি ক্ষুদ্র বার্তা দিয়ে বলেন যে, পাকিস্তানিরা মাঝ রাতের পরে দেড়টায় হামলা শুরু করবে। কিন্তু দখলদার বাহিনী সেদিন রাত ১১টাতেই হামলা শুরু করে। সেই বার্তাতে বঙ্গবন্ধু ইপিআরের চার কর্মকর্তার কাছে টেলিফোনে স্বাধীনতা ঘোষণার বার্তা পাঠান এবং তাদের নির্দেশ দেন যাতে পাকিস্তানিরা হামলা শুরু না করা পর্যন্ত তারা সেই বার্তা প্রচার না করেন। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে থামাতে চট্টগ্রামে ব্যারিকেড দেয়ার চেষ্টা করায় জিয়াউর রহমান বাঙালিদের ওপর গুলি চালিয়ে অসংখ্য লোককে হত্যা করে। চট্টগ্রামের অনেক নেতা সেই ঘটনা জানে।
দেশ স্বাধীন করার সব ধরনের প্রস্তুতি বঙ্গবন্ধুর ছিলো উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময় নিষিদ্ধ থাকা ৭ মার্চের ভাষণ এখন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।