অসুস্থ শরীর নিয়ে জো রুটের লড়াই। ডিহাইড্রেশন নিয়ে হাসপাতালে যেতে বাধ্য হওয়া। তারপর ব্যাট করতে না পারা। ৪-০ ব্যবধানে হারা এক অ্যাশেজ সিরিজে ইংলিশ অধিনায়ক রুটের এই লড়াই শুধু কাগজে-কলমেই থেকে গেল। শেষ টেস্টে ইনিংস ও ১২৩ রানের লজ্জার হার এড়ানো যায়নি।
রুট ব্যক্তিগত ৫৮ রান পর্যন্ত উইকেটে ছিলেন। প্রথমবার মাঠ ছেড়ে আবার ফিরে আসেন। প্রচণ্ড গরমে দ্বিতীয়বার আর টিকতে পারেননি। নবম ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর ব্যাট করতে আসেননি। ১৬৭ বলে একটি চারে এই রান করেন তিনি।
প্রথম ম্যাচে অজিরা জিতেছিল ১০ উইকেটে। পরের ম্যাচে জয় ছিল ১২০ রানে। তৃতীয় ম্যাচ ইনিংস ও ৪১ রানের ব্যবধানে জিতে সিরিজ নিজেদের করে দলটি। চতুর্থটি ‘ড্র’ হয়।
পাঁচ কিংবা তার বেশি ম্যাচের অ্যাশেজ সিরিজের ইতিহাসে এই নিয়ে দশবার তৃতীয় টেস্টে সিরিজ নিষ্পত্তি হল। যার মধ্যে ৯ বার জয়ী অস্ট্রেলিয়া। এভাবে ইংল্যান্ড সিরিজ জিততে পেরেছিল একবার, সেটা ১৯২৮-২৯ মৌসুমে।
সিডনিতে চতুর্থদিন দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৯৩ রান তুলতে ৪ উইকেট হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে করা ৬৪৯ রান স্পর্শ করতে শেষদিন তাদের ২১০ লাগতো। সেই পথে হাঁটতে যেয়ে ১৮০ রান পর্যন্ত গেছে তারা।
ম্যাচসেরা কামিন্স আর লায়নের দাপটের মুখে দাঁড়াতেই পারেনি দলটি। কামিন্স ৩৯ রানে নেন ৪ উইকেট। লায়ন ৫৪ রানে ৩ উইকেট। কামিন্স প্রথম ইনিংসেও চার উইকেট পেয়েছিলেন।
তৃতীয়দিন শেষে উসমান খাজার (১৭১) সেঞ্চুরি আর সিরিজসেরা স্মিথের ৮৩ রানের ইনিংসে ৬ উইকেট হাতে রেখে ইংলিশদের থেকে ১৩৩ রানে এগিয়ে ছিল অজিরা। সেখান থেকে রোববার দুই ভাই শন মার্শ (১৫৬) আর মিচেল মার্শের (১০১) শতকে সাত উইকেটে ৬৪৯ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা।
ইংলিশরা প্রথম ইনিংস শেষ করে ৩৪৬ রানে। তাদের সর্বোচ্চ স্কোরার ‘লড়াকু’ জো রুট, ৮৩। মালান করেন ৬২। ওই ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়ে অজিদের সেরা বোলার ছিলেন প্যাট কামিন্স। দুটি করে উইকেট শিকার করেন মিচেল স্টার্ক ও জস হ্যাজেলউড। আরেকটি উইকেট গেছে নাথান লায়নের পকেটে।
ইংল্যান্ড চতুর্থদিন শেষ বিকেলে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভার থেকে উইকেট হারাতে থাকে। স্টোনেম্যানকে (০) ফেরান স্টার্ক। ষষ্ট ওভারে কুককে (১০) ফেরান লায়ন। ভিঞ্চ যেতে পারেন ১৮ রান পর্যন্ত। লায়নের বলে মালান এলবিডব্লিউ হন ব্যক্তিগত ৫ রানে। শেষ দিন টিকে থাকার লড়াই শুরু করেন জনি ব্যারিস্টো (১৭) এবং প্রথম ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোরার জো রুট (৪২)। রুট অসুস্থ হয়ে পড়লে আর পথ খুঁজে পায়নি তার দলও।