সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ঈদ উদযাপিত হয়েছে। রোববার পবিত্র হজ্ব শেষে সৌদি আরবে ঈদ উল আজহা উদযাপিত হয়।
চাঁদপুর
চাঁদপুরের ৪০টি গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে পবিত্র ঈদ উল আজহা। জেলার হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফে সকাল সাড়ে ৯ টায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের নামাজে ইমামতি করেন সাদ্রা দরবার শরীফের পীর মাওলানা আরিফ চৌধুরী। এ সময় শত শত মুসল্লী ঈদের জামাতে অংশ নেন।
এরপর ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন সময়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, মতলব, কচুয়া ও শাহরাস্তিসহ ৫ উপজেলার প্রায় ৪০টি গ্রামে আজ আগাম ঈদ উদযাপিত হয়েছে। এসব এলাকায় ঈদের নামাজ শেষে দেশের শান্তি কামনায় দোয়া করা হয়।
বরিশাল
বরিশালে ঈদ উল আজহা পালন করেছেন জাঁহাগিরিয়া অনুসারীরা। নগরীর পূর্ব হরিণাফুলিয়া চৌধুরী বাড়ী শাহ্-মমতাজিয়া জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ইমামতি করেন হাফেজ মো. আবু জাফর। এছাড়াও নগরীর আরো তিনটি এলাকাসহ জেলার কয়েকটি উপজেলায় অগ্রীম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মাদারীপুর
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে মাদারীপুরের চারটি উপজেলার ৩০ গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার সুরেশ্বরী মুরিদ রোববার ঈদ উল আজহা উদযাপন করেছে। জেলার বেশ কয়েকটি স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হলেও প্রধান ও বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে মাদারীপুর সদর উপজেলার তাল্লুক গ্রামের চরকালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে। সকাল ৯টায় এ জামাত পড়ান ইমাম আব্দুল হাশেম ফকির।
দিনাজপুর
দিনাজপুরের সদর, চিরিরবন্দর, কাহারোল এবং বিরামপুর উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় সৌদি আরবের সাথে মলি রেখে ঈদ উল আজহা উদযাপন করা হয়েছে। এসব পরিবারের মুসল্লিরা জেলার বিভিন্ন স্থানে ঈদের নামাজ আদায় শেষে কেউ কেউ সাধ্যমত পশু কোরবানিও দিয়েছেন।
দিনাজপুর শহরের পার্টি সেন্টারে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ইমামতি করেন মাওলানা সাইফুল ইসলাম। শতাধিক মুসুল্লি এই ঈদ জামাতে অংশ নেয়। এছাড়াও দিনাজপুর কাহারোল উপজেলার জয়নন্দ ও গড়েয়া চিরিরবন্দর উপজেলার সাইতাড়া এবং বিরামপুর উপজেলায় দুইটি গ্রামে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জেলায় প্রায় দেড় হাজার পরিবার সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে পালন করেছে ঈদ উল আজহা।
চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মির্জারখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি বছরের মতো এবারও একদিন আগে পশু কোরবানি দিয়েছেন।
জানা গেছে, সূফি সাধক মাওলানা মোখলেছুর রহমান (র.) ২০০ বছর আগে এ নিয়ম প্রবর্তন করেন। এরপর থেকে দরবারের মুরিদরা একদিন আগে থেকে রোজা রাখা ও ঈদ উদযাপন করে আসছেন।
পটুয়াখালী
পটুয়াখালী সদর, নিশানবাড়িয়া, দুমকী, বাউফলের মদনপুরা, বগা, জৌতা, শাবুপুরা, ঝিলনা, কাছিপাড়া, গলাচিপা উপজেলার ডাউকা, কলাপাড়া উপজেলার ছয়টি গ্রামসহ বেশকিছু এলাকায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। নামাজ শেষে পশু কোরবানি করেন তারা।