মার্গারিটা মামুনের রিদমিক জিমন্যাস্টিকস-উইমেন’স ইভেন্টে স্বর্ণ জয়ে বাঙালির উচ্ছ্বাসটাকে স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারছেন না অনেকেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সংক্রান্ত মত জানিয়ে পোস্টও করছেন কেউ কেউ। গুটি কয়েক মানুষের এ মনোভাবের সমালোচনা করেছেন অ্যাকটিভিস্ট ও সাংবাদিক কবির য়াহমাদ।
আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দোষ সামনে এনে বাহবা কুড়িয়ে নেওয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতি মন্ত্রী শাহরিয়ার আলমেরও সমালোচনা করেন তিনি। শুধু তত্ত্বাবধায়ক সরকার কেনো? আওয়ামী লীগও তো শেষ আট বছর রাষ্ট্র ক্ষমতায়, তাহলে তিনি জানার পরও নিজ দায়িত্বে ব্যবস্থা নিলেন না কেনো? এমন প্রশ্ন রেখেছেন তিনি।
তিনি তার ফেসবুকে মার্গারিটার সাফল্য নিয়ে লিখেছেন: মার্গারিটা রিটা মামুনের প্রতি কিছু লোকের গোস্যা করার কারণ বুঝতে পারি নি। কারণটা কি মেয়েটার বাবা বাংলাদেশি হলেও সে কেন রাশিয়ার হয়ে অলিম্পিকে অংশ নিলো, কেন তাঁর বাবা বাংলাদেশে পক্ষে মার্গারিটার অলিম্পিকে অংশগ্রহণের আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন- এগুলো কি?
মার্গারিটা বাংলাদেশের হয়ে অলিম্পিকে অংশ নিতে পারেন নি। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিতে পারে নি এমন। এ তথ্যটা কি তিনি অদ্য আবিস্কার করলেন? আগে করলে কেন ব্যবস্থা নেন নি? মজার ব্যাপার হচ্ছে অন্যদের উপর দায় চাপিয়ে তিনি ঠিকই প্রশংসিত হয়ে গেলেন। অথচ আগে এমন তথ্য তাঁর কাছে থাকলে তাঁরা নিজেরা এ দায় এড়াতে পারেন? তাঁর সরকার তো আট বছর ধরে ক্ষমতায় আছে- তাহলে কীভাবে দায় এড়াতে পারেন?
অদ্য ফেসবুকে মার্গারিটার এক ফেসবুক (আসল, নকল জানি না) আইডি চোখে পড়ল যেখানে কাভার পিকচারে বাংলাদেশ-রাশিয়া সমভাবে উপস্থিত। মনে হলো বাংলাদেশের প্রতি তাঁর ভালোবাসা আছে ঠিক ঠিক তাঁর এখনকার দেশ রাশিয়ার মত।
মার্গারিটাকে নিয়ে গর্ব করার কারণ তাঁর বাবা চেয়েছিলেন মেয়ে যেন বাংলাদেশের পক্ষে অলিম্পিকে অংশ নিতে পারে, মেয়ের সম্মতিতে নিশ্চয়ই এমন করেছিলেন বাবা। বাবার জন্মভূমির প্রতি ভা্লোবাসা না থাকলে একটা সুপারস্টার এমন করতে পারে না।
উইকিপিডিয়াতে মার্গারিটার সম্পর্কে অনেক কিছু লেখা আছে। লেখা আছে সে বাংলাদেশি অরিজিন, তাঁর নিকনেম রিটা’র পাশেই “The Bengal Tiger”.
গোস্যা প্রকাশকারী বন্ধুগণ, মার্গারিটাকে বাংলার বাঘ/বাঘিনী বলে ডাকে অনেকেই। যে মেয়েটি তাঁর ডাকনামে বাংলাদেশকে ধারণ করতে চায় তাঁকে নিয়ে বাংলাদেশের কেউ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলে সমস্যাটা কোথায়? মেয়েটিকে বাংলাদেশি হিসেবে না মানুন, বাংলাদেশপ্রেমি ও সুহৃদ মানতে তো আপত্তি নাই; নাকি সেটাও বাতিল করে দেবেন!