প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একজন ব্যক্তির স্বার্থে আঘাত লাগায় তিনি দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ব্যাহত করার চেষ্টা করেছেন। একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকের মিথ্যা অভিযোগে একজন সচিবের কারাবাস খুবই দুঃখজনক। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য তার বক্তব্যে সেই ‘একজন ব্যক্তির’ নাম উল্লেখ করেন নি।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির শততম সভার শুরুতেই পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, এই সরকার এ পর্যন্ত ৭৩৩টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। আগে পরে মিলিয়ে ১ হাজার ৯৭টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে আর প্রক্রিয়াধীন আছে ৮৭৫টি।
প্রকল্পগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সময় মতো বাস্তবায়ন হওয়ায় সাধারণ মানুষ এর সুবিধা ভোগ করছে, যা অব্যাহত রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার যেভাবে দ্রুত কাজ করে যাচ্ছে, সবগুলো যদি এভাবে করে যাওয়া সম্ভব হয়, তাহলে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্য ২০২১ সালের আগেই পূরণ করা যাবে।
বাংলাদেশের সব উন্নয়ন প্রকল্পেরই লক্ষ্য দেশের তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের ভাগ্য এবং দেশের উন্নতি করা।
দুর্নীতির অভিযোগে পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে বিশ্বব্যাংক যে মিথ্যা অভিযোগ করেছিল তা আন্তর্জাতিকভাবে আজ প্রমাণিত। এই অভিযোগের জন্য একজন সচিবকে অযথা এক বছর জেল খাটতে হয়েছে। এতে ওই এক বছর দেশ তার সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এ ধরণের ঘটনা যেন ভবিষ্যতে আর না ঘটে, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
‘একজন ব্যক্তির স্বার্থে আঘাত লাগল বলে ওই ব্যক্তি দেশের একটি মূল্যবান প্রকল্প, যার ফলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের সার্বিক উন্নয়ন হতে পারতহ এবং আমাদের জিডিপিতে আরও এক ভাগের ওপর সংযুক্ত হতো,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী, ‘আমরা যখন শুরু করেছিলাম, তখন কাজটা করতে পারলে এতদিনে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে যেত। আমরা জিডিপিতে শতকরা ৮ ভাগে চলে যেতে পারতাম। সেই সম্ভাবনাটিকে ব্যাহত করে দেয়া হয়েছিল।’
বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার মধ্যেই নির্ধারিত কাজগুলো দ্রুত শেষ করার তাগিদে দিয়েছেন তিনি।