নেতৃত্বের শেষ টেনেছেন ওয়ানডেতে সবার চেয়ে এগিয়ে থেকে। শুধু ওয়ানডে কেনো, তিন ফরম্যাট মিলিয়েও মাশরাফীর মতো ৫০ জয়ের কীর্তি নেই দেশের আর কোনো অধিনায়কের। বিদায়কালে যখন নিজের অধিনায়কত্ব নিয়ে মূল্যায়ন করতে বলা হল, বরাবরের মতো বিনয়ই থাকলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটে সদ্যই সাবেক অধিনায়ক বনে যাওয়া ম্যাশ।
‘নিজেকে আমি কখনই মূল্যায়ন করি না। এককথায় বলতে গেলে গড়পড়তা। ক্যাপ্টেন্সিকে কখনোই ওভাবে আলাদা করে দেখি না জীবনে।’
মাশরাফীর নেতৃত্বের শেষ ম্যাচে হেসেখেলেই জিতেছে বাংলাদেশ। বড় কোনো অঘটন না হলে এমন জয় পাওনাই ছিল টাইগারদের। তামিম-লিটনের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৪৩ ওভারে ৩২২ করা ম্যাচে মাশরাফী তবুও কোনো সুযোগ দেননি নিজের ভুল খুঁজে বের করার।
‘আমার কাছে মনে হয়েছে কোনো ভুল নাই তো! কারণ মানুষ যখন কোনকিছুর শেষ বলে দেয়, তখন কিন্তু ভুল হওয়ার সুযোগটা অনেকবেশি থেকে যায়। কারণ সে জানে এরপর আমার আর জবাবদিহিতা নাই। যদিও সবার কাছে মনে হচ্ছিল সোজাসাপ্টাই ম্যাচ জিততে পারবো। তারপরও হয় না, নিজের শেষ কাজটা করা নিজের কাছে, এটাই চেষ্টা করছিলাম।’
অধিনায়ক হিসেবে শেষ সংবাদ সম্মেলনে উত্তরসূরিদের জন্যও কিছু পরামর্শ রেখে গেছেন ম্যাশ, ‘যে অধিনায়কের চেয়ারে বসবে, আগের চেয়ে তার চিন্তা-চেতনা তিনগুণ বাড়াতে হবে।’
‘জিতলে পরিস্থিতি অনেক সহজ। হারলে সংবাদ সম্মেলন থেকে শুরু করে, বোর্ড- প্রতিনিয়ত যে চাপটা তৈরি হবে তাকে সেটা বহন করতে হবে। ঐদিক চিন্তা করলে আমি চাপমুক্ত ছিলাম। ৫-৬ বছর অধিনায়কত্ব করেছি। নতুন যে আসবে তাকেও কিন্তু এই বিষয়গুলো মাথায় নিতে হবে।’
‘আমি আগেই বলেছি যে, সিনিয়র যারা থাকবে তাদের দিকে হলে ভালো হয়, সুবিধা হবে কারণ তারা আগেও আপনাদের (সাংবাদিকদের) সামনে এসেছে, খেলাটাও অনেকদিন ধরে খেলছে। একই সাথে চাপটাও নিতে পারবে।’