এখন পর্যন্ত একবারই ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছেন মেহেদী হাসান। তাতে টি-টুয়েন্টি স্টাইলে সেঞ্চুরি করেছিলেন সাউথ জোনের অলরাউন্ডার। বল হাতেও কম গেলেন না, একাই ফেরালেন ইস্ট জোনের পাঁচ ব্যাটসম্যানকে। মেহেদীর অলরাউন্ডিং নৈপুণ্যের ম্যাচে উজ্জ্বলতা ছড়িয়েছেন ইস্টের ওপেনার পিনাক ঘোষও।
কক্সবাজারে সাউথের ৪৮২ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ৩০৬ রানে অলআউট হয়ে ফলোঅনে পড়েছিল ইস্টরা। সেই ইনিংসে ৮০ রান করেছিলেন পিনাক। ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমে আরও উজ্জ্বল বাঁহাতি ওপেনার, এবার ১২১ রানের ঝলমলে ইনিংস এসেছে তার উইলো থেকে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে ৩২৩ রানে তৃতীয় দিন শেষ করে ১৪৭ রানে এগিয়ে তার দল।
৫ উইকেটে ২৭০ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করা ইস্ট তাদের প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছে লাঞ্চের আগেই। লেজের তিন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে একই ম্যাচে সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেটের দারুণ কীর্তি গড়েছেন মেহেদী। এই পাঁচ উইকেট নিতে তাকে রান খরচ করতে হয়েছে ১০২ রান। ১০৭ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন সাউথ অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাক।
১৭৬ রানে পিছিয়ে থাকা ইস্টকে ফলোঅন করানোর সিদ্ধান্ত নেন আব্দুর রাজ্জাক। এত বিশাল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা দলটাকে টেনে তোলেন পিনাক ঘোষ। ৪ ছক্কা ও ১৪ চারে ১৩৯ বলে ১২১ রান করে রানআউট হয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে।
শুরুটা ভালো হয়েছিল প্রথম ইনিংসে ৭১ করা মোহাম্মদ আশরাফুলেরও। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭ বলে ২৮ করার পর তিনিও কাটা পড়েছেন রানআউটে।
হাতে ৫ উইকেটে রেখে ৩২৩ রানে শেষদিন শুরু হবে ইস্ট জোনের। দলকে পথ দেখাচ্ছেন সেঞ্চুরির সুবাস পাওয়া আফিফ হোসেন ধ্রুব। ৯৩ রানে শেষ দিনে খেলতে নামবেন বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান।
এদিকে সিলেটে জমে ওঠার অপেক্ষায় সেন্ট্রাল বনাম নর্থ জোনের শেষদিনের খেলা। অধিনায়ক শুভাগত হোমের ১২২ রানে সেন্ট্রালের দ্বিতীয় ইনিংস থেমেছে ৩২৫ করে। তাতে নর্থের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৩০ রান।
লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রানে দিন শেষ হয়েছে নর্থের। শেষদিনে ম্যাচ জিততে হলে আরও ১৭৪ করতে হবে নাঈম ইসলামের দলকে। ৫৪ রান নিয়ে উইকেটে টিকে আছেন লেগস্পিনিং অলরাউন্ডার তানভির হায়দার।