চট্টগ্রাম থেকে: কুয়াশা ভেদ করে রৌদ্র তখন উঁকি দিতে শুরু করেছে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। মিডিয়া সেন্টার ঘেঁষে পূর্ব পাশের নেটে মাঘের সকালে দেখা গেল একজনকে। সাকিব আল হাসান! নিজের মতো করে ব্যাটিং অনুশীলন করতে চলে এসেছেন দলের আগেই।
ব্যাট হাতে শুরুতে ছিলেন একদমই নড়বড়ে। মিনিট পাঁচেক বিশ্রাম নেয়ার পর দেখা গেল বিপরীত ছবি। রোদের সঙ্গে বাড়তে থাকে সাকিবের ব্যাটের তেজ। যেভাবে চেয়েছেন, সেভাবেই পেরেছেন মারতে।
থ্রোয়ার রমজান আলী ও ফরচুন বরিশালের সহকারী কোচ আশিকুর রহমানের ছোঁড়া বল শুরুতে ব্যাটে ঠিকঠাক লাগাতে না পেরে চরম বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা যায় সাকিবকে। নেট থেকে বেরিয়ে খানিক বিশ্রামেই মেলে টনিক। বড় বড় শটে হুংকার তোলেন। বন্দরনগরীর স্টেডিয়ামটির নিস্তব্ধতাও কাটতে থাকে।
একটি মুঠোফোন কোম্পানির বিজ্ঞাপনের লাইন ‘বিশ্বাস রাখো তুমি পারবেই’, সেরকম কোনো ব্যাপারই হয়ত ঘটে সাকিবের সঙ্গে। ব্যর্থতার কুয়াশা সরিয়ে আলোর পথ পেতে মৌন থেকে অনুপ্রেরণাদায়ী কিছু হয়ত খুঁজে বেরিয়েছেন তিনি।
হেড কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের নেতৃত্বে ফরচুল বরিশাল দল যখন মাঠে এলো, সাকিবের ঘণ্টাখানেকের ব্যাটিং পর্ব প্রায় শেষ পর্যায়ে। পরে দলের সঙ্গে ফুটবল খেলায় মাতেন সব্যসাচী এ তারকা ক্রিকেটার। সেখানেও রাজ করেন টাইগার অলরাউন্ডার। ম্যাচের একমাত্র গোলটি আসে তার পা থেকেই।
জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে দারুণ একটি দিন কাটিয়েছেন সাকিব। তবে বল হাতে নেননি। অন্যদের বোলিং-ব্যাটিং অনুশীলনে ঠিকই চোখ রেখেছেন বরিশাল অধিনায়ক।
দারুণ দল নিয়েও বিপিএলের ঢাকা পর্বে শেষ দুটি ম্যাচ হেরেছে তার দল। চট্টগ্রামের রানপ্রসবা উইকেটে দেখা যেতে পারে দলগুলোর ব্যাটিং শক্তির প্রদর্শনী। অনুশীলনে সাকিবের চার-ছক্কার মহড়া হয়ত সেজন্যই।