একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বেশ কয়েকটি আসনে একাধিক প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন: এটি টেকনিক্যাল কারণে করা হয়েছে। সময় ও পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রার্থী বদলাতেও হতে পারে। অন্য প্রার্থী বেশি শক্তিশালী হলে দলের প্রার্থী বিবেচনা করা হবে।
এছাড়া একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনে মনোনয়ন পাওয়া প্রত্যেককে কনফার্মেশন চিঠি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যাহার পত্র নিয়ে রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রোববার ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩০ জনকে চিঠি দেয়া হবে। সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটায় ৩০০ আসনে প্রার্থীদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।
রোববার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে মনোনয়ন চিঠি দেয়া শুরুর কিছুক্ষণ পর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
কাদের বলেন: রোববার সকাল থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেওয়া হচ্ছে।
‘আনুষ্ঠানিকভাবে আগামীকাল বিকেল সাড়ে তিনটায় জোটগত প্রার্থী ঘোষণা করা হবে। জোটের শরিকদের জন্য ৬০ থেকে ৭০টি আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
নির্দিষ্ট সংখ্যা জানাতে অপারগতা জানিয়ে তিনি বলেন: আগামীকাল আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে। তবে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী শরিকরা ৭০টির বেশি আসন পাচ্ছে না বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
এসময় বিএনপির সমালোচনা করে কাদের বলেন: বিএনপি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ ধরতে চাইছে। পুলিশ প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করে যাচ্ছে। তারা প্রশাসনিক ব্যবস্থা ভেঙে ফেলতে চাইছে।
বিএনপির পরাজয় এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতা মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংগঠনিক এ নেতা বলেন: নির্বাচনে পরাজয় জেনেই বিএনপি পুলিশ, প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে আজগুবি অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ অনেকে।