বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বর নির্ধারিত হবে এদেশের মানুষ আবারো গোলামীতে ফিরবে কিনা। এই ভোট নির্ধারণ করবে গণতন্ত্রের মুক্তি, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও দেশে ন্যায় বিচার এবং স্বাধীনতা ফিরে আসবে কিনা এবং তারেক রহমান দেশে ফিরবে কিনা।
বুধবার বিকেলে বগুড়া সদরে নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। বগুড়া-৬ (সদর) আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপি মহাসচিব।
বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির আয়োজনে জনসভার প্রধান অতিথি মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, সরকার নির্বাচন বানচালের সব ধরনের চেষ্টা এবং মিথ্যাচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত ও নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার-নির্যাতন করছে। এই সরকার একটি জুলুমবাজ সরকার। সরকার আপনাদের প্রিয়নেত্রী খালেদা জিয়াকে জেলে পুরে রেখে মারতে চায়।
তিনি বলেন, সারাদেশের মানুষের একটি আকাঙ্ক্ষা তারা আওয়ামী লীগকে সরাতে চায়, পরিবর্তন চায়। পরিবর্তন, গণতন্ত্র ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে ভোট দিতে হবে। তিনি সবাইকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে ভোট গণনা শেষ করে বিজয় মিছিল করে বাড়ি ফেরার আহ্বান জানান।
ঐক্যফ্রন্টের আরেক কেন্দ্রীয় নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না পুলিশকে ভালো হয়ে যাওয়ার উপদেশ দিয়ে বলেন, পুলিশ এখন ধরছে, তিন দিন পর একদিনে আমরা সারাদেশে ধরবো। তারা ভয় দেখিয়েছে এক মাস আর জবাব দেয়া হবে একদিনে। এজন্য একযোগে ৩০ ডিসেম্বরের লড়াইয়ে লড়তে হবে।
জনসভা শুরুর আগে বিএনপি নেতাকর্মীরা স্লোগানের পর স্লোগান দিয়ে জনসভাস্থল মুখরিত করলেও জনসভাস্থলের পিছনের অংশ অনেকটা খালি দেখা যায়।
মাখতুন আহম্মেদ খান রুবেলের সভাপতিত্বে বাঘোপাড়া শহীদ দানেশ উদ্দিন কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত এই জনসভায় জেলা বিএনপি-জামায়াত নেতৃবৃন্দ ছাড়াও যুবদল ও ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।