এ বছর বিজয়ের ৪৯তম বার্ষিকী। আগামী বছর স্বাধীনতার ৫০ বছর। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীও শেষ হবে আগামী বছর। সব মিলিয়ে এবারের বিজয়ের উদ্যাপনে ভিন্নমাত্রা যোগ হয়েছে। তবে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে এবার মহান বিজয় দিবস পালনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা রয়েছে। সকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সামরিক সচিবরা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে ভোর ৬টা ৩৪ মিনিটে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে শুরু হয় বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা।
বুধবার বিজয়ের ৪৯তম বার্ষিকীতে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে রাজধানী ঢাকা থেকে সাভারের স্মৃতিসৌধ। রাজধানী থেকে সাভারের স্মৃতিসৌধে যাওয়ার পথে পথে রাতের আলোকসজ্জা বিজয়ের গৌরবের ইঙ্গিত নির্দেশ করে। নিকষ কালো পেরিয়ে উদয় হওয়া সূর্যও প্রস্তুত হয় প্রভাত ফেরিতে, যেখানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে জাতীর বীরদের শ্রদ্ধার মিছিলে শামিল হয় রাজনীতিবিদ ও সাংস্কৃতিক নেতাকর্মীরা। স্বাধীনতার ৪৯ বছর আর জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী সবকিছু মিলিয়েই এবারের বিজয় দিবসের অন্যরককম তাৎপর্যপূর্ণ দেশের মানুষের কাছে। রাজনীতিবিদরাসহ সচেতন মহল চান মুক্তিযুদ্ধই হোক রাজনীতির মূল প্রেরণা। আওয়ামী লীগসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলো সম্প্রীতির স্লোগান যেমনই তুলেছে, তেমনই স্বাধীনতাবিরোধী আর উগ্রবাদীদের সঙ্গে কোনো আপোষ নেই বলেও ঘোষণা দিয়েছে।
তরুণ যুবকদের পদধ্বনিতে জাতীয় স্মৃতিসৌধ হয় চেতনার বহ্নিশিখা। জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। আপামর মেহনতি মানুষের পদভারে মুখরিত হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধ। সম্মিলিত চেতনায় এখনও দেশ বিরোধি প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে তরুণ সমাজ। এই অসাম্প্রদায়িক মৌলবাদমুক্ত বাংলাদেশ যেন বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে- এই হোক প্রজন্মের শপথ। এই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ যেন অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ হিসেবে চিরজীবী হয়- আমরা এই চেতনায় নতুন শপথে যেন পথে নামি।