শনিবার সন্ধ্যায় শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটে নিজ কার্যালয়ে জাগৃতির প্রকাশক-লেখক ও কর্ণধার ফয়সাল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এছাড়াও এর কয়েক ঘণ্টা আগে আরো ৩ ব্লগারকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ নিয়ে তীব্র নিন্দা প্রকাশ করে অপরাধীদের শাস্তি দাবি করেছেন সাধারণ জনগণসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
ফয়সাল আরেফিন দীপনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে স্মৃতিচারণ করে ফেসবুকে দীপনের সপরিবারে ছবিসহ স্ট্যাটাস দিয়েছেন বিশিষ্ট লেখক, কবি, ছড়াকার এবং চিকিৎসক ড. সজল আশফাক। স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন:
‘এই পরিবারটি কি কখনো ভেবেছিল এই পরিণতির কথা!!বিভিন্ন কারণে সকাল থেকে মনটা খারাপ হয়ে আছে। চা খেতে খেতে ইন্টারনেটে দু’ একটা জরুরি কাজ সেরে ফেসবুকে চোখ পড়তেই দেখি দীপনের ছবি। হ্যাঁ দীপনের ছবি। ওনার ছবি তো আসতেই পারে! বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে দীপন সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন। নামকরা প্রকাশক, মুক্তবুদ্ধির চর্চা করেন। কিন্তু বারবার দীপনের ছবিটা সামনে আসাতে স্বভাবতই চোখে পড়লো খবরটা। ঠিক বিশ্বাস হচ্ছিল না। কয়েকবার দেখলাম, হ্যাঁ দীপনই, তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে নির্বিঘ্নে চলে গেছে ঘাতকরা।
দীপনের সাথে আমার প্রথম পরিচয় ১৯৯৭ সালে; ১৯৯৮ সালে জাগৃতি থেকে আমার প্রথম সায়েন্স ফিকশন বই ‘ছায়াজীব’ বের হয়। বই প্রকাশের বিষয় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে আবাসিক ভবনে তখন তিনি থাকতেন, সেখানেও গিয়েছি কয়েকবার। ওনার স্ত্রী ডাক্তার, আমার অনুজ মেধাবী চিকিৎসকদের সহপাঠিনী, বন্ধু। এই দুইয়ে মিলিয়ে দীপনের সাথে নিয়মিত দেখা সাক্ষাত না হলেও সব সময়ে পরিচিতের গন্ডিতেই ছিল দীপন। সেই দীপনের মর্মান্তিক, অনাকাঙ্ক্ষিত প্রস্থান, আবারো প্রমাণ করলো আমরা কতটা অরক্ষিত! বুঝতেই পারিনি ঘাতক কখন এতটা কাছে চলে এসেছে!! কতটা অসহায় হলে একজন পিতা, তার সন্তানের হত্যার বিচার চায় না!!! এ কোন নোংরা রাজনৈতিক খেলার মধ্যে পড়ে গেছি আমরা!
এই ছবিটি বাংলা ১৪২২ সালের পহেলা বৈশাখে তোলা, পরিবারের সাথে দীপন। ছবিটি দীপনের স্ত্রী ডা. Razia Rahman Jolly এর ফেসবুক থেকে নেয়া’