তিনি ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত আবাহনীর হয়ে খেলেছেন। জালাল ইউনুস ছিলেন বাঁহাতি পেসার। খেলা ছাড়ার পর সংগঠক হিসেবে আত্মপ্রকাশ। ১৯৯৬ সালে সাবের হোসেন চৌধুরীর (তখনকার বোর্ড সভাপতি) মাধ্যমে সুযোগ আসে ক্রিকেট বোর্ডে কাজ করার।
২০০০ সালে বাংলাদেশ যখন টেস্ট ক্রিকেটে যাত্রা শুরু করে, তখন জালাল ইউনুস বিসিবির মিডিয়া কমিটির সেক্রেটারি। এখন তিনি বিসিবির একজন পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান। টেস্টের বাংলাদেশকে দেখছেন শুরু থেকেই। বাংলাদেশ টেস্ট দল হিসেবে বিশ্বের কাছে পরিচিতি পাবে, এটি তার কাছে ছিল কল্পনাতীত। সেই বাংলাদেশ এখন ১০০ টেস্ট খেলার দ্বারপ্রান্তে। বুধবার কলম্বোয় নিজেদের শততম টেস্ট খেলতে নামছে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে।
টেস্টে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা দেখে রোমাঞ্চিত বিসিবির এই কর্মকর্তা। চ্যানেল আই অনলাইনকে বললেন, ‘আমরা কল্পনাও করতে পারিনি টেস্ট দল হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে পরিচিতি পাবে। এখন ১০০ টেস্ট খেলতে যাচ্ছে। এই পথচলা কল্পনাতীত। ভিন্ন ধরণের একটা রোমাঞ্চ অনুভব করছি। অভিষেক টেস্টে একটা রোমাঞ্চ ছিল। দুটির মাঝে পার্থক্য খুব কম। তবে শুরুরটা বিশেষ। কারণ ওই সময় আমরা টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়েছিলাম। ওটার আনন্দ ভিন্নরকম ছিল।’
টেস্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তির ১৬ বছর পেরিয়ে বাংলাদেশ ১০০ টেস্ট খেলতে যাচ্ছে। এই সময়ে শক্তিধর দল হয়ে উঠতে না পারায় কিছুটা আফসোস ঝরলো জালাল ইউনুসের কণ্ঠে, ‘টেস্টে আমাদের অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে। ১৬ বছর পার করে ১০০তম টেস্ট খেলবো আমরা। টেস্টে পথচলা হয়তো অতটা মসৃণ ছিল না। অর্জনও খুব বেশি হয়নি। কিছুটা হতাশা তো কাজ করেই।’
কিছু আশার কথাও শোনালেন তিনি, ‘বিগত ৪-৫ বছর ধরে টেস্টে আমরা ভালো খেলছি। যেহেতু কম টেস্ট খেলি সেজন্য পারফরম্যান্স কিন্তু সেভাবে একটা লেভেলে আনতে পারিনি। তবে যেভাবে খেলছি তাতে আশা করছি আগামী ৩-৪ বছরে হয়তো সাফল্য আসতে শুরু করবে। র্যাঙ্কিংয়ে যদি ৯ নম্বর থেকে ৭-৮ এ যেতে পারি তাহলে অনেক বড় অর্জন হবে।’