চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের কাছে হেরে কোপা আমেরিকা থেকে বাদ পড়লেও ম্যাচে একদম বাজে খেলে হেরেছে আর্জেন্টিনা এমনটাও নয়। দুইদফা বল বারে লেগে ফিরেছে, প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার সুপারম্যানের মতো লিওনেল মেসির ফ্রি-কিক না ফেরালে ফলটাও অন্যরকম হতে পারতো।
মোদ্দা কথা, নড়বড়ে এক দল নিয়ে কিছুটা হলেও ইতিবাচক ফুটবল তো উপহার দিতে পেরেছে আর্জেন্টিনা। আর তাতেই আশাবাদী মেসি!
অথচ কোপা আমেরিকার শুরুর আগে ও মাঝামাঝি সময়ে দেখে মনেই হয়নি সেমিফাইনাল পর্যন্ত যাবে ১৪বারের চ্যাম্পিয়নরা। কাতারের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ই আলবিসিলেস্তেদের তুলে দেয় কোয়ার্টারে। সেখান থেকে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ে সেমিতে।
যে দুই ম্যাচে জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা, তাতে ছিল উন্নতির ছাপ। ব্রাজিলের কাছে হারলেও খেলোয়াড়দের মাঝে যে লড়াইয়ের ছাপ ছিল সেটাও আশাবাদী করছে মেসিকে। অনুরোধ জানিয়েছেন, দলের তরুণদের যেন পর্যাপ্ত সময় দেয়া হয়। একসঙ্গে খেললে বোঝাপড়াটা হবে যুতসই, তাতেই মিলবে ফল!
‘তাদের আছে ভবিষ্যৎ ও শক্ত গাঁথুনি। তাদেরকে শুধু সময় দিতে হবে। ‘কোনো সন্দেহ নেই যে, ম্যাচে জার্সির প্রতি টানটা আমরা অতীতের আর যেকোনো দিনের চেয়ে বেশিই অনুভব করেছি। আমরা ভবিষ্যৎটা দেখতে পাচ্ছি। তারা ঠিক পথেই আছে।’
সেটা না হয় তরুণ ফুটবলারদের ভবিষ্যৎ জানা গেল। তো মেসির ভবিষ্যৎ কী? আরও একবার খালি হাতে ফেরা আর্জেন্টাইন অধিনায়কের বক্তব্য, ‘আমি যদি কোনোভাবে সাহায্য করে যেতে পারি তাহলে আমি খেলব। এই দলটার সঙ্গ আমার ভালোই লাগে। দলে তরুণরা জাতীয় দলের জন্য যে ভালোবাসা দেখিয়েছে তা মুগ্ধ হওয়ার মতো।’
বেলো হরিজন্তের মিনেরো স্টেডিয়ামে বুধবার যেমন ভাগ্যকে পাশে পাননি তেমনি মেসি দোষ দিচ্ছেন রেফারিকেও। তার দাবি অন্তত দুটো ন্যায্য পেনাল্টি থেকে তাদের বঞ্চিত করেছেন রেফারি রডি জাম্ব্রানো। এমনকি একবারও ভিডিও প্রযুক্তির সহায়তা নেননি তিনি।
‘কোপায় ভিআর প্রযুক্তি থাকার পরও তার সাহায্য নেননি। এটা অবিশ্বাস্য! তারা (রেফারিরা) প্রায় প্রতি ম্যাচেই এমনটা করেছেন। এর কোনো যুক্তি হতে পারে না। বিষয়টা খতিয়ে দেখা দরকার। আশা করি, কনমেবল (সাউথ আমেরিকান ফুটবল অ্যাসেসিয়েশন) এসব রেফারিদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে।’