চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। সম্মিলিতভাবে পাসের হার ৭৩.৯৩। গত বছরের তুলনায় তা ৭.২৯ শতাংশ বেশি। ২০১৮ সালে পাসের হার ছিল ৬৬.৬৪ শতাংশ।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এবারের পরীক্ষায় সব বোর্ড মিলিয়ে মোট জিপিএ ৫ পেয়েছে ৮ হাজার ৯৮৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪৭ হাজার ২৮৬ জন পরীক্ষার্থী। গত বছরের (২৯ হাজার ২৬২) তুলনায় যা ১৮ হাজার ২৪ জন বেশি। জিপিএ ৫ এর শতকরা হার এবার ৩.৫৪ শতাংশ। গত বছর এটি ছিল ২.২৭ শতাংশ।
এ বছর শতভাগ পাস করা শিক্ষার্থীর প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা মোট ৯০৯, গত বছরের তুলনায় যা অনেক বেশি (৪০০)।
পরীক্ষার ফল প্রকাশ ও ফলের পরিসংখ্যান হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নত করতে শিক্ষার মান বাড়ানোর তাগিদ দেন।
তিনি বলেন, শিক্ষাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, যা দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে পারে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৫৫ দিনেই এই ফল প্রকাশ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
ফল প্রকাশ ও হস্তান্তর শেষে দেশব্যাপী সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ ২০১৯ এর নির্বাচিত জাতীয় পর্যায়ের ১২ জন সেরা মেধাবীকে বিশেষ পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। পুরস্কার বিতরণ শেষে তিনি বলেন, শিক্ষা হচ্ছে আলো। সেই আলো থেকে যেন কেউ বঞ্চিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৮টি সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলে অংশ নেয়া মোট পরীক্ষার্থী ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬২৯ জন। এদের মধ্যে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী ৯ লাখ ৮৮ হাজার ১৯২ জন।
৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে মোট অংশ নেয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১১ লাখ ২৬ হাজার ১২৬ জন। এদের মধ্যে পাস করেছে ৮ লাখ ৯ হাজার ১৪৯ জন। পাসের হার ৭১.৮৫ শতাংশ। গত বছর এ হার ছিল ৬৪.৫৫ শতাংশ।
৮ বোর্ডে মোট জিপিএ ৫, ৪১ হাজার ৮০৭টি। গত বছর এটি ছিল ২৫ হাজার ৫৬২। অর্থাৎ এবার জিপিএ ৫ বেড়েছে ১৬ হাজার ২৪৫টি।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে মোট ৮৬ হাজার ১৩৮ জন অংশ নেয়া পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৭৬ হাজার ২৮১ জন। পাসের হার ৮৮.৫৬ শতাংশ। গত বছরের (৭৮.৬৭%) চেয়ে যা ৯.৮৯ শতাংশ বেশি।
এ বছর মাদ্রাসা বোর্ডে জিপিএ ৫ পেয়েছে মোট ২ হাজার ২৪৩ জন। গত বছর সংখ্যাটি ছিল ১ হাজার ২৪৪ জন। জিপিএ ৫ এর শতকরা হার ২.৬০।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে মোট ১ লাখ ২৪ হাজার ৩২০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৭১৫ জন। গতবার সংখ্যাটি ছিল ৮৯ হাজার ৮৯ জন। পাসের হার ৮২.৬২ শতাংশ। গত বছর এ হার ছিল ৭৫.৫০ শতাংশ।
কারিগরি বোর্ডে মোট জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩ হাজার ২৩৬ জন। জিপিএ ৫ এর হার ২.৬০ শতাংশ। ২০১৮ সালে এ হার ছিল ২.০৮ শতাংশ।
দুপুর ১টা থেকে শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ইন্টারনেট বা মোবাইলের মাধ্যমে ওয়েবসাইট http://www.educationboardresults.gov.bd/ এবং http://www.educationboard.gov.bd/ থেকে ফলাফল জানা যাবে।