ওয়াহিদা মল্লিক জলি। একজন গুণী অভিনেত্রী। একাধারে কাজ করছেন মঞ্চ, ছোট পর্দা এবং বড় পর্দায়। সম্প্রতি তিনি কাজ শেষ করলেন চিত্রনায়ক আলমগীর পরিচালিত ছবি ‘একটি সিনেমার গল্প’তে। এই ছবিতে তার কাজের অভিজ্ঞতা এবং বর্তমান ব্যস্ততার নানা দিক নিয়ে সম্প্রতি চ্যানেল আই ভবনে চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে কথা বললেন তিনি-
কেমন আছেন?
ভালো আছি।
‘একটি সিনেমার গল্প’ ছবিতে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
ভীষণ ভালো। সাধারণত নাটকের শিল্পী হিসেবে সিনেমাতে কাজ করতে গেলে তেমন স্বস্তি লাগে না, এখানে এমনটা হয়নি।
ছবিতে আপনার চরিত্রটি কি ছিল?
ছবিতে আমি নায়কের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। নায়কের বিধবা মা যে অনেক কষ্ট করে তার সন্তানকে বড় করেছে। ছবিতে ছেলে হলো উঠতি নায়ক। ছেলের কোনো শখ অপূর্ণ রাখেনি বিধবা মা। এমনই অন্তপ্রাণ মা যে ছেলের বিয়েতে কিছু কারণে আপত্তি থাকলেও, সেটাও মেনে নিয়েছে।
ছবির শুটিং কোথায় করেছেন?
আমার অংশের শুটিং করেছি উত্তরাতে। পুরো ছবির শুটিং তো হয়েছে সারা দেশের বিভিন্ন লোকেশনে।
চিত্রনায়ক আলমগীরের ডিরেকশনে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
ডিরেক্টর হিসেবে আলমগীরের কাজ এত গোছালো ছিল যে কল্পনাকেও হার মানায়। উনি রীতিমতো প্ল্যানিং করে রাখতেন কী কী শট হবে। সবাইকে ভীষণ সম্মান দেখাতেন।
ছবিতে ঋতুপর্ণা সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা?
ঋতুপর্ণার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা খুব ভালো। ও এতো মিশুক যা বলার মতো নয়! যে আসে সবার সঙ্গে ছবি তোলে, কোনো বিরক্তি নেই। প্রোডাকশন বয় থেকে শুরু করে সবার সঙ্গে সমান আন্তরিক। হয়তো এমনও হয়েছে, শট দিতে যাচ্ছে এসময় কারও অনুরোধে সে হাসিমুখে ছবি তুলছে তার সঙ্গে।
বর্তমানে কাজ নিয়ে ব্যস্ততা কেমন?
কাজটা একটু কমিয়ে দিয়েছি। টিভি সিরিয়াল কম করছি। কারণ, আমি একটা বই লিখছি। সেটা নিয়ে একটু ব্যস্ত আছি। বইটা শেষ করে তারপর কাজে মনোযোগী হবো।
বইটা কিসের ওপরে লেখা?
বইটা কস্টিউম ডিজাইনের ওপরে লেখা। কস্টিউম ডিজাইন, হিস্ট্রি, কিভাবে ডিজাইন করে সব পাওয়া যাবে এখানে। কস্টিউম ডিজাইনে আমার কাজের নানান অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি বইয়ে। নাটক, মঞ্চ সবক্ষেত্রেই কাজ দেবে বইটি।
বইটির নাম কী?
নামটা এখনও ঠিক করিনি। লেখা শেষ করে তারপর নাম দেবো।
মঞ্চের কাজের ব্যস্ততা কেমন?
সামনে জানুয়ারীতে শিল্পকলায় একটা নাট্যেতসব করতে চাইছি। এখনও কিছু ফাইনাল হয়নি। আমার অভিনীত ‘সুচনা’ নাটক সেখানে মঞ্চস্থ হবে। এছাড়া কলকাতার নাট্যদলও সেখানে পারফম করবে বলে আশা করছি।
অনেক ধন্যবাদ চ্যানেল আই অনলাইনকে সময় দেবার জন্য
আপনাকেও ধন্যবাদ।
ছবি: সাকিব-উল ইসলাম