ঋণ খেলাপির কলঙ্ক থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ পেয়েও অনীহা দেখাচ্ছেন এক শ্রেনীর ব্যাংক-খেকোরা। ২ শতাংশ নগদ জমা দিয়ে ঋণ নিয়মিত করা কিংবা এককালীন এক্সিট সুবিধা নেয়ার ক্ষেত্রেও গড়িমসি করছেন তারা। গত ১৬ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন জারির পর ৭ মাসে ৫৯ ব্যাংকে আবেদন জমা পড়েছে মাত্র ১৩ হাজার ৩শ’ ৬৮টি। ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করার সুযোগ থাকায় অনেকেই দেরি করছেন বলে মনে করছেন ব্যাংকাররা।
মুরগি আগে না ডিম আগে, সেই বিতর্কের মতো উচ্চ সুদ হারের ফলে খেলাপি ঋণ নাকি খেলাপি ঋণ বাড়তে থাকায় সুদের লাগামহীন উর্দ্ধযাত্রা, তার একটা দফা-রফা করতে চান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সেজন্যই শপথ নিয়ে প্রথম দিনের ঘোষণা, খেলাপি ঋণ আর বাড়বে না কার্যকরে মরিয়া তিনি। ব্যাংকগুলোর ওপর সিন্দবাদের ভূতের মতো চেপে বসা ৪ দশকের পুঞ্জীভূত খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে অংশীজনের সবাই যে তাকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করছে, সমীকরণটা অতো সহজ না। নাহলে প্রজ্ঞাপন করতেই ৫ মাস, আদালতের চক্করে আরও প্রায় ৩ মাস, আর সুবিধা নিয়েও ব্যাংক মালিকদের একের পর এক বাউন্সারে মোটামুটি ক্লান্ত আইসিসি থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা আ হ ম মুস্তফা কামাল।
ব্যাংক খাতে সোয়া লাখ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের মধ্যে ২৩ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা নিয়মিত করার আবেদনে সন্তুষ্ট নন ব্যাংকাররা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাওয়া, বেসরকারী ব্যাংকগুলোতে যেনো গ্রাহকদের নিরুৎসাহিত করা না হয়।
অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ক্রেডিট কার্ড বাদে সব ধরনের ব্যাংক ঋণের সুদ হার সর্বোচ্চ ৯% আর আমানতের সুদ হার ৬% কার্যকর হওয়ার কথা ১লা এপ্রিল থেকে।