শ্রীলঙ্কা ৫শ কোটি ১০ লাখ ডলারের বৈদেশিক ঋণ শোধ করতে পারবে না বলে জানিয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে শ্রীলঙ্কা নিজেকে ঋণ খেলাপি হিসেবে ঘোষণা দিলো। অর্থনৈতিক সঙ্কটে জর্জরিত দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানীতে ঠেকায় এ ঘোষণা দিতে বাধ্য হলো। সঙ্কট মোকাবেলায় ব্যর্থ হওয়ায় সরকারের পতন চাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
শ্রীলঙ্কার অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটির বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের সামর্থ্য নেই। তারা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর বেলআউটের অপেক্ষায় রয়েছে।
শ্রীলঙ্কার অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যাতে আরো খারাপ না হয় সেটা নিশ্চিত করতে জরুরি পদক্ষেপ নিচ্ছে। ঋণদাতারা পাওনা মূলধনের সঙ্গে সুদ যোগ করে দিতে পারে। অথবা শ্রীলঙ্কার রুপিতে পাওনা অর্থ আদায় করতে পারে।’
শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সঙ্কট শুরু হয় জরুরি পণ্য আমদানি করার অক্ষমতার মধ্য দিয়ে। করোনা মহামারীর কারণে পর্যটন ব্যবসায় ধ্বস দেশটির অর্থনীতিকে আরো দুর্বল করে ফেলে। মহামারীর তিন বছরে তাদের রেমিট্যান্সও কমে যায় ব্যাপক হারে।
চরম খাদ্য ও জ্বালানি সঙ্কটের পাশাপাশি রয়েছে বিদ্যুৎ স্বল্পতা। নানান সমস্যায় ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত দ্বীপ রাষ্ট্রটির ২ কোটি ২০ লাখ মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছেই। দুর্ভোগের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে জনরোষ। ক্ষুব্ধ মানুষ মন্ত্রীদের বাড়িঘরে হামলা চালানোর চেষ্টা করছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ক্ষুব্ধ নাগরিকদের প্রতিহত করে চলেছে।
বৈদেশি মুদ্রার রিজার্ভ এর উপর চাপ কমাতে আমদানির উপর নানান নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরকারের আর্থিক অব্যবস্থাপনা, বছরের পর বছর ধরে নানান খাতে ঋণ গ্রহণ, দুর্বল কর ব্যবস্থা দেশটির সঙ্কটকে আরো জটিল করেছে।