নেপালে বিধ্বস্ত ইউএস বাংলার উড়োজাহাজে ৬৭ যাত্রীর মধ্যে ৩২ জন বাংলাদেশি, ৩৩ জন নেপালি, একজন মালদ্বীপের এবং একজন চিনের নাগরিক ছিলেন। উড়োজাহাজটিতে চার জন বাংলাদেশি ক্রু ছিলেন বলে ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। যাত্রী এবং ক্রু মিলে মোট ৩৬ জন বাংলাদেশীর মধ্যে মাত্র ৯ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে এবং বাকি ২৭ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে নেপালে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম নেপালে অবস্থিত হাইকমিশনের দুই পৃষ্ঠার একটি তালিকা প্রকাশ করে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তালিকা প্রকাশ করে শাহরিয়ার আলম বলেন, সবুজ কালিতে নাম লিখা ব্যক্তিরা আহত।আহতদের সঙ্গে এ্যাম্বাসী কর্মকর্তারা দেখা করেছেন। বাকীরা জীবিত নেই। আহত পাইলট নরভিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। একজন ক্রু সম্ভবত জীবিত আছেন, তবে তাকে এখনও পৌঁছানো যায়নি।
জীবিত উদ্ধার হওয়া যাত্রীরা হলেন, মোছাঃ শিরিন আহমেদ, আলমুন নাহার এ্যানি, মোঃ শাহীন বেপারি, মোঃ রেজায়ানুল হক, মোঃ মেহেদী হাসান, এমরানা কবির হাসি, কবির হোসাইন, রাশেদ রোবায়েত, সৈয়দা কামরুনাহার স্বর্ণা। বাকী ২৭ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।
বিমানে থাকা অন্যান্য যাত্রীরা হলেন-তানিরা তানভীন শশী, পিয়াস, শেখ রাশেদ, কৃষ্ণ কুমার, উম্মে সালমা, আশনা সাকিয়া, অঞ্জলি শ্রেষ্ঠ, সারুনা শ্রেষ্ঠ, সৈয়দা কামরুন নাহার, হরিপ্রসাদ, দয়ারাম তহরাখার, বালকৃষ্ণ থাপা, শ্বেতা থাপা, কিশোর ত্রিপতি, আবাদেশ কুমার যাদব, অনিরুদ্ধ জামান, মো. নুরুজ্জামান, মো. রফিক জামান, রিয়ানা আব্দুল্লাহ, পয়বাল আহমেদ, সামরিন আহমেদ, জাকদ আলী, আলিফুজ্জামান, আলমুন নাহার, বিলকিস আরা, শিলা বাজগাইন, বেগম নুরুন্নাহার বিলকিস, আলজিনা বড়াল, চারু বড়াল, আকজারা বেগম, শাহীন বেপারী, শুভিন্দ্র সিং, বসঞ্জিত বহরা, সামিরা বায়ানজানকর, প্রবীণ চিত্রকর, নাসিয়া আফরিন চৌধুরী, সাজানা দেবখোজা, প্রিন্সি ধামি, গায়নি কুমারি গুরুং, রেজকানুল হক, মো. রকিবুল হাসান, মেহেদী হাসান, এমরানা কবির হাসি, কবির হোসাইন, দীনেশ হুমাগাইন, সানজিদা হক, হাসান ইমাম, মো. নজরুল ইসলাম, শ্রেয়া জিলা, পূর্ণিমা লুনানি, মিলি মেহেরজান, নিগা মেহেরজান, সঞ্জয়া মেহেরজান, জেংমিং, আঁখি মনি, মেহনাজ বিন নাসির, কেসাব পান্ডে, প্রসন্না পান্ডে, বিনোদ পাউডাল, হরিশংকর পাউডাল, সঞ্জয় পাউডাল, এফএইচ প্রিয়ক, থামারা প্রিয় নৈইয়ি, মতিউর রহমান, এসএম মাহবুবুর রহমান, আশিষ রঞ্জিত।