দেশের মাটিতে তাদের ওড়ার কথাই ছিল। উড়ছেও। গ্রুপপর্বে একমাত্র তারাই সব ম্যাচে জয় পেয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তান ভারতের বিপক্ষে হেরে শুরু করলেও সময়ের সঙ্গে ছন্দে ফিরেছে। বুধবার বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই দল।
শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারালেও স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে সমীহই করছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ, ‘দুই বছর ধরে ইংল্যান্ড দারুণ ক্রিকেট খেলছে। তারা খুব ভালো, খুব ভালো দল। বিশ্বসেরাদের সঙ্গে খেলতে হলে ইতিবাচক থাকতে হয়। আমরা সেই কাজটি করার চেষ্টা করবো।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের ইতিহাস অবশ্য খুব একটা খারাপ নয়। ওয়ানডে ক্রিকেটের প্রথম দিক থেকেই তারা ইংলিশদের বিপক্ষে ভালো করে। বিশেষ করে ১৯৯২ বিশ্বকাপের ফাইনালের স্মৃতি তারা স্মরণ করতে পারে। ইমরান খানের নেতৃত্বে সেবার দারুণ লড়াইয়ের পর পাকিস্তান শেষ হাসি হাসে।
শুরুতে দুই ওপেনারকে হারানোর পর ইমরান খান (৭২) এবং জাভেদ মিয়াদদ (৫৮) পাকিস্তানকে ২৪৯ রানের সংগ্রহ এনে দেন। জবাব দিতে নেমে ওয়াসিম আকরামের তোপের মুখে অসহায় হয়ে পড়ে ইংলিশরা।
তারপর থেকে আবার ইংরেজদের দাপট বাড়তে থাকে। ইংল্যান্ড এখন পর্যন্ত মুখোমুখি ৫১ ম্যাচের ভেতর ৩০টিতে জয় পেয়েছে। হেরেছে ২০টিতে।
ইংল্যান্ডের মাটিতে পাকিস্তান ম্যাচ খেলেছে ২৯টি। তার মধ্যে ১১টিতে জয় পেয়েছে পাকরা। ইংল্যান্ড জিতেছে ১৭টিতে।
নিকট অতীত ইংল্যান্ডের পক্ষে কথা বলছে। ২০১৬ সালে পাকিস্তান ৪-১ এ সিরিজ হেরে যায় ইংল্যান্ড থেকে।
আবার আইসিসির ওয়ানডে টুর্নামেন্টে দুদলের মুখোমুখি লড়াইয়ে সমতা। ৯ ম্যাচে উভয় দলেরই ৪টি করে জয়।
তবে সব হিসাব-নিকাশ পাল্টে যেতে পারে দলটি পাকিস্তান বলেই। কখন তারা কী করে বসে তা তো সময়ও জানে না!