করোনা পরিস্থিতির কারণে মাঠে ঢুকতে পারবে না দর্শক। ফাঁকা থাকবে ২৫ হাজার ধারণক্ষমতার গ্যালারি। দর্শকদের বসার স্থানে সাঁটানো হয়েছে অংশগ্রহণকারী পাঁচটি দলের লোগা সম্বলিত বিশাল আকৃতির ব্যানার। তাতে রঙিন হয়ে উঠেছে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম।
বাউন্ডারি সীমানার পাশে বসে গেছে পেরিমিটার বোর্ড। মাঠের উইকেট প্রস্তুত করা হয়েছে আগেই। বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপ আয়োজনের সব প্রস্তুতি শেষ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অপেক্ষা টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ানোর।
মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় মুশফিকুর রহিমের বেক্সিমকো ঢাকা ও নাজমুল হোসেন শান্তর মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠবে আসরের। সন্ধ্যায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-সাকিব আল হাসানদের জেমকন খুলনার মুখোমুখি হবে তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল।
সকাল থেকেই একাডেমি মাঠে ছিল ক্রিকেটারদের প্রস্তুতির তৎপরতা। অসংখ্য টেলিভিশন ক্যামেরা। আলোকচিত্রীদের ছোটাছুটি। সাংবাদিকদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়।
টুর্নামেন্টের টিভি সত্ত্ব পাওয়া টি-স্পোর্টসের কর্মীদের কর্মযজ্ঞ, মাঠ ও মাঠের বাইরে টুর্নামেন্টের পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ডিং মিরপুরে ফিরিয়ে এনেছে চেনা আবহ।
করোনা বিরতি কাটিয়ে গত মাসে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ দিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরলেও সেটি ছিল ছোট পরিসরের আয়োজন। ওয়ানডে টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিল মাত্র তিনটি দল।
এবার বিপিএলের আদলে পাঁচ দলের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট। টি-টুয়েন্টি বলে টিভি দর্শকদের উন্মাদনাও থাকবে বেশি। টুর্নামেন্টের ফাইনাল ১৮ ডিসেম্বর। সামনের চার সপ্তাহ ব্যাট-বলের উৎসবে মেতে থাকবেন দেশের শীর্ষ ক্রিকেটাররা।
জানুয়ারিতে পSর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১০ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার আগে ঘরোয়া আসর খেলেই প্রস্তুত হতে হবে টাইগারদের।