চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

উৎসবের ঘরে আলো-আঁধারির খেলা

ঈদ উৎসবে ঘর সাজিয়ে নিন নিজের মতো

আসছে ঈদ। উৎসবকে ঘিরে ঘরকে সাজানোর পরিকল্পনাও চলছে পুরোদমে। ঘর- এক আবেগ ধরে রাখা শব্দ। তাই সবার ইচ্ছে থাকে সেই ঘরও হয়ে উঠুক উৎসবের আমেজে একটু ভিন্ন একটু অন্যরকম।

এই ঘরের সাজে তাই আলোর ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আলো-আঁধারির যথার্থ ব্যবহার ঘরে এনে দেয় মোহময়, স্নিগ্ধ আবহ। এই ছুটিতে সবাই যেহেতু নিজের ঘরেই বেশিরভাগ সময় কাটান তাই নিজেদের রিলেক্সেশনের জন্য ও এই আলোকসজ্জা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সেজন্য প্রথম লক্ষ্য রাখার মতো বিষয় হল লাইট নির্বাচন এবং কোন্‌ লাইট কোন ঘরের জন্য প্রয়োজন, কোন্‌ জায়গায় ঠিক ঠাক মানিয়ে যায় তা বেছে নেওয়া।

চলুন দেখে নেওয়া যাক ঘরের একেক জায়গার আলো-আঁধারির সাজ কেমন হতে পারে:

শয়নকক্ষ বা বেডরুমের আলোর ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন সকালে বা দিনের বেলা বাইরের পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক আলো যেন বেডরুমে প্রবেশ করতে পারে। রাতে বা সন্ধ্যায় বেডরুমের আলোকসজ্জা হতে পারে রোমান্টিক এবং নান্দনিক।

বিছানার দুই পাশে কিংবা ছোট রুমের ক্ষেত্রে বিছানার এক পাশে টেবিল ল্যাম্প বা স্টেন্ড ল্যাম্প-লাইট তৈরি করতে পারে টুকরো আলোর ছটা।

মেঝেতে আলোর চৌকোণো শেড ছড়িয়ে দিতে এখন অনেকেই নানা ধরণের লাইট ব্যবহার করেন দরজার প্রবেশমুখে কিংবা কেবিনেটের আশেপাশে অথবা বিছানার কর্নারে। স্পট, মিরর, সারফেস প্যানেল কিংবা স্ট্রাইপ লেড লাইট এক্ষেত্রে শয়নকক্ষ কিংবা অন্য কোন রুমেও এনে দিতে পারে বৈচিত্র্যময় আলোর ছটা। ঈদ বা যেকোন উৎসবে ড্রইং রুম, লিভিং রুম এবং খাবার-ঘর বা ডাইনিংরুমকে সাজিয়ে তোলার ব্যাপারে সবাই একটু বেশিই যত্নশীল হোন। হবেন নাই বা কেন, আতিথেয়তার জন্য এ রুমগুলোতেই যে অতিথিদের আনাগোণা থাকে বেশি এসমস্ত দিনে। তো ব্যক্তির পছন্দের উপর এবং ঘরের আসবাবপত্রের সাজ-সজ্জার উপর নির্ভর করে নানান ভাবে এ ঘরগুলোর আলোক বিন্যাসের কথা ভাবা যায়। কেউ পছন্দ করেন আলো-অন্ধকারের কারসাজি আবার কেউ কেউ ভালোবাসেন আলোর ঔজ্জ্বল্য।

তবে দু’ক্ষেত্রেই লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন ঘরের আসবাবপত্রের, দরজা-জানালার পর্দার এবং দেয়ালের রঙ কেমন। কেননা আলোর রঙ কিন্তু বদলে যায় জিনিসের রঙের সাথে মিলেমিশে। চেষ্টা করা উচিৎ একটি লাইট ব্যবহার না করে নানান এঙ্গেলে কয়েকটি লাইট ব্যবহার করা। যদি রুমটি ছোট হয় তবে অন্তত দু’টি লাইট ব্যবহার করুন। আগে ঝাড়বাতির খুব প্রচলন ছিল। এখনো ছোট-বড় নানান আকারের ঝাড়বাতি ব্যবহৃত হয়। তবে আলোকসজ্জার নান্দনিকতা ফুটিয়ে তুলতে কার্যকর হল নানান সাইজের, ডিজাইনের কিংবা হরেক রঙের আলোর ল্যাম্প কিংবা স্পট লাইটের ব্যবহার।

বারান্দায় আলোকসজ্জা নির্ভর করে বারান্দা বাসার ঠিক কোথায় অবস্থিত এবং বারান্দার পরিবেশকে কেমন রাখতে আগ্রহী তার উপর। যদি খাওয়ার পরে আড্ডা দেওয়ার জন্য বসতে চান চেয়ার-টেবিল পেতে রাখা বারান্দাটিতে তবে হালকা আলোর ব্যবস্থা থাকতে পারে তাতে। বাইরের চাঁদের আলো কিংবা অন্ধকারের স্পর্শকে সেক্ষেত্রে প্রাধাণ্য দেওয়া হয়। অনেকের বারান্দা ড্রইং রুম লাগোয়া থাকে, সেক্ষেত্রে ড্রইং-রুমে আলো-আঁধারির ব্যবস্থা থাকলে বারান্দায় থাকতে পারে খানিক উজ্জ্বল আলো। হারিকেন, প্রদীপ, মোমবাতির আদলে এখন লাইট পাওয়া যায়। সেগুলোকেও কাজে লাগানো যেতে পারে বারান্দা কিংবা লিভিং-রুমের আলোকসজ্জার সময়।

বাজারে এ ধরনের ঝাড়বাতি, ল্যাম্প, স্পট লাইট ইত্যাদি নানা ধরণের আলোকবাতি পাওয়া যায় নানান ডিজাইনে। এমনকি ইদানীং যে কেউ চাইলে ইন্টারনেট ঘেঁটে অনলাইন শপ থেকেও যাচাই-বাছাই করে পছন্দ মতোন লাইট কিনে নিতে পারেন সহজেই। এন্টিক ল্যাম্প, ধাতব ভারী মেটেরিয়াল থেকে শুরু করে বাঁশ, কাগজ, বেত, কাঠ, চীনামাটির তৈরি বা প্লাস্টিকের নান্দনিক ডিজাইনের নানান মূল্যের লাইট পাওয়া যায় আড়ং, যাত্রা, ইটিসি, রঙসহ ধানমন্ডি, গুলশান, বনানীর নানান শপিং মলগুলোতে। রাজধানীর নিউমার্কেটেও রয়েছে সুলভ মূল্যের আকর্ষর্ণীয় লাইট। এছাড়া বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্কেও যেতে পারেন চাইলে।