ঘরের ছেলেরা ঘরে ফিরল। তবে কিঞ্চিৎ শাস্তি পাওয়ার পর। এই শাস্তির দরকার ছিল বলেই সেটা মাথা পেতে নিয়েছেন স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। একবছর নিষেধাজ্ঞার শাস্তি কাটিয়ে জাতীয় দলের সতীর্থদের সঙ্গে পুনর্মিলনের পর দুজনের মনে হয়েছে কখনোই ব্রাত্য করে রাখা হয়নি তাদের!
সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০১৮ সালে বল টেম্পারিংয়ের কারণে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি আছে স্মিথ-ওয়ার্নারের। নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে ২৯ মার্চ।
পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে এখন দুবাইয়ে অনুশীলনে ব্যস্ত অস্ট্রেলিয়া দল। স্মিথ-ওয়ার্নারের নিষেধাজ্ঞা যখন শেষ হবে, ততদিনে সিরিজে গড়িয়ে যাবে তৃতীয় ম্যাচ। চাইলে বাকী দুই ম্যাচেই খেলতে পারবেন নিষিদ্ধ যুগল।
তবে তাড়াহুড়ো করে স্মিথ-ওয়ার্নারকে দলে রাখতে চাচ্ছেন না অস্ট্রেলিয়া কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার। দুজনেই কনুইয়ের চোট থেকে ফিরেছেন বলে ঝুঁকিটা নিতে চাননি অজি কোচ। চোট থেকে ফিরে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে যেন মানিয়ে নিতে পারেন, তাই দুজনকেই আইপিএল খেলার অনুমতি দিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
আইপিএল খেলতে ভারতে যাওয়ার আগে দুবাইয়ে যাত্রা বিরতি নিয়েছিলেন স্মিথ ও ওয়ার্নার। দুজনকে জাতীয় দলের আবহে মানিয়ে নেয়ার সুবিধার্থে শনিবার এক পুনর্মিলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ল্যাঙ্গার। কেমন অভ্যর্থনা পাবেন এমন শঙ্কা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সতীর্থদের কাছে উষ্ণ স্বাগতমই পেয়েছেন স্মিথ-ওয়ার্নার।
‘বড় বড় আলিঙ্গন আর অনেক আদর পেয়েছি। মনে হয়েছে কখনোই আমরা জাতীয় দলের বাইরে ছিলাম না। ছেলেরা আমাদের দুহাতে টেনে নিয়েছে।’ ওয়ার্নারই বুঝিয়ে দিলেন কেমন ছিল তাদের ফেরা।
স্মিথ-ওয়ার্নারদের ফেরাটা কেমন ছিল সেটা বোঝা যাবে ল্যাঙ্গারের এক কথাতেও। অজি কোচের ভাষ্যমতে, ‘দুই ভাই যেন একসঙ্গে ঘরে ফিরল।’
নিষেধাজ্ঞায় কেবল জাতীয় দলের বাইরেই থাকেননি, স্মিথের মতে দেশ ও দলের প্রতি টান কী জিনিস সেটা হাড়েহাড়ে টের পেয়েছেন দুজনে, ‘দলের কী মূল্য সেটা যেন প্রতি মূহুর্তে অনুভব করেছি। চেষ্টা করবো যাই আসুক না কেনো, বাকিটা সময় ঠিক পথে থাকার।’
জাতীয় দলে ফিরলেও হারানো গৌরব ফিরে পাওয়া হবে না স্মিথ কিংবা ওয়ার্নারের। নিষিদ্ধ হওয়ার আগে স্মিথ ছিলেন জাতীয় দলের অধিনায়ক আর ওয়ার্নার ছিলেন সহ-অধিনায়ক।
অন্তত দুবছরের আগে জাতীয় দলের নেতৃত্বে ফিরতে পারবেন না স্মিথ। নয় মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে আগেই ক্রিকেটে ফেরা আরেক পাপী ক্যামেরন বেনক্রফটের জন্য শাস্তিটা একই। আর ওয়ার্নারকে সোজা জানিয়ে দিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া, ক্যারিয়ারের বাকিটা সময় যেন কোনো নেতৃত্বের আশা না করেন তিনি!