দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ জানিয়েছেন, রাস্তায় উল্টোপথে যাতায়াত বন্ধে চলমান যে অভিযান তা তার নয়, তিনি শুরুও করেননি। তাই এর কৃতিত্ব বা প্রশংসাও তার পাওনা নয়।
‘সেদিন অফিস থেকে ফেরার পথে দেখি বেশ কিছু পুলিশ সদস্য কিছু একটা করছেন। আগ্রহ থেকে গাড়ি থেকে নেমে দেখি তারা উল্টোপথে চলাচল বন্ধে কাজ করছেন। তখন সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে কিছুক্ষণ তাদের অভিযান দেখি। এই ছিল আমার অংশগ্রহণ,’ এভাবে তার অবস্থান জানান দুদক চেয়ারম্যান।
বৃহস্পতিবার দুদকের পাঁচ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়ে ইকবাল মাহমুদ বলেন, অনেকে ওই কারণে আমাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। এ কারণে একটু বিব্রতকর অবস্থার মধ্যেই পড়ছি।
মতবিনিময় সভাতেও কেউ কেউ দুদক চেয়ারম্যানকে অভিনন্দন জানালে তিনি বলেন, এ কৃতিত্ব পুলিশের। বলতে পারেন, আমি তাদের সহযোগিতা করেছি। নাগরিক হিসেবে আমাদের সকলেরই এটা দায়িত্ব।
গত সপ্তাহে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সহস্রাধিক উল্টোপথে চলা গাড়ির বিরুদ্ধে জরিমানা ও মামলা করেছে ট্রাফিক পুলিশ। দেখা গেছে উল্টোপথে চলা এসব গাড়ীর মালিক অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রশাসনের বড় আমলা, পুলিশের বড় কর্মকর্তা, নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী এবং বিভিন্ন পর্যায়ের ক্ষমতাবান ব্যক্তিরা।
গত মঙ্গলবার রাজধানীর বিজয় সরণি এলাকায় উল্টোপথে চলা সিনিয়র সচিব, পুলিশের ডিআইজি, সেনাবাহিনী এবং নৌবাহিনীর গাড়িসহ মোট ৫০টি গাড়ির বিরুদ্ধে জরিমানা করা হয়। এর আগেরদিন সোমবার উল্টোপথে গিয়ে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদসহ অনেক ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাকে জরিমানা গুণতে হয়।
এদিন বিকেলে হেয়ার রোডে ট্রাফিক পুলিশের ঘণ্টা দুয়েকের ওই অভিযানে ৫০টির মতো গাড়ি আটকানো হয়, যার বেশিরভাগই ছিল সরকারি কর্মকর্তাদের। এর আগেরদিন রোববার এরকম অভিযানে উল্টোপথে আসা মোট তিন শতাধিক গাড়ি আটকে মামলা দেওয়া হয়।