বিজয় দিবসের আগেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি চিরন্তনে ১৫ দিন ধরে অনশন করে আসা ওয়ালিদ আশরাফ উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের আশ্বাসে অনশন ভেঙ্গেছেন।
শনিবার বেলা পৌনে একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান তাকে পানি খাইয়ে অনশন ভাঙান।
ওয়ালিদ আশরাফকে ডাকসু নির্বাচন দেয়ার আশ্বাস দেন উপাচার্য। তিনি ওয়ালিদকে বলেন, নির্বাচন না হওয়ার যে সংস্কৃতি চলে আসছে, তা তিনি ভাঙতে চান। এই নির্বাচন হবেই। তবে একটু সময় লাগবে। উপাচার্যের এই আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ দিনের মাথায় ওয়ালিদ আশরাফ অনশন ভাঙলেন।
উপাচার্য বলেন, আমরা বিষয়টাকে একেবারেই মানবিকভাবে দেখেছি। এই পবিত্র স্থান কেউ নোংরা করবে সেটা আমরা সাধারনত বরদাস্ত করিনা। কিন্তু সে এখানে নিরিবিলি ছিল, শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছিল আমরা তাকে বাঁধা দিইনি। অনেক দিন হয়ে গেছে, তার পরিবারের পক্ষ থেকেও অনুরোধ করা হয়েছে, তাই সম্পূর্ণ মানবিক দিক থেকে আমরা তাকে অনশন ভাঙার জন্য অনুরোধ করছি।
ওয়ালিদেও দাবির ব্যাপারে উপাচার্য আরো বলেন, ডাকসু নির্বাচনের সকল প্রয়াস আমরা অব্যাহত রাখব এবং এত বছর ধরে নির্বাচন না হওয়ার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসব। তবে দীর্ঘ ২৭ বছরের জট খুলতে সময় লাগবে। নির্বাচনের অনেকগুলো পরিপ্রেক্ষিত আছে সেগুলো সমন্বয় কওে আমাদের আগাতে হবে, নইলে বড় ঝুঁকি থাকে। তাই কােন উস্কানিতে পা দেয়া যাবে না, হটকারি ভাবে কিছু করা যাবে না। অমাদের অত্যন্ত পরিকল্পিভাবে আগাতে হবে।
তবে যেহেতু তিনি কোনো তারিখ দেননি, তাই তিনি প্রতিদিনই কোনো না কোনো কর্মসূচি পালন করে যাবেন, দাবির ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি করতে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
ওয়ালিদ আশরাফ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের এম এস এস (সান্ধ্যকালীন) দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী। ডাকসুর দাবিতে তিনি গত ২৫ তারিখ থেকে অনশন করে আসছিলেন।
উপাচার্যের সঙ্গে এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাকসুদ কামাল, প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ওয়ালিদ আশরাফের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে প্রগতিশীল ছাত্র জোটও কর্মসূচি পালন করে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। একই সঙ্গে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীরাও কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন।