চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

উন্নতি হলেও তারল্য সংকটে পুঁজিবাজার

দেশের প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পুঁজিবাজারেরও উন্নয়ন হয়েছে বলে জানিয়েছে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ। তারপরও তারল্য সংকট রয়েছে বলে মনে করছে ডিএসই এবং সিএসই। সরকারি কোম্পানির পাশাপাশি বেসরকারি ভালো কোম্পানি শেয়ারবাজারে আসলে বাজেট প্রণোদনার বাস্তবায়ন সহজ হবে বলে আশা করছেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা।

২০১০ সালে ধসের পর থেকে পুঁজিবাজারে প্রণোদনা এসেছে নানাভাবে। ২০১৫-১৬ বাজেটে তারই ধারাবাহিকতায় গুণগত পরিবর্তন এসেছে। গত দুই মাসে প্রতিদিন লেনদেন ৫০০ থেকে হাজার কোটি টাকার মধ্যে ওঠানামা করেছে। এ অবস্থাকে স্থিতিশীল বললেও বাজারে তারল্য সংকটের কথা জানিয়েছেন মার্কেটের কর্মকর্তারা।

সিএসই এমডি ওয়ালি উল মারুফ মতিন বলেন, তারল্য সংকট আছে। প্রতিবছর আমাদের অর্থনীতি বড় হচ্ছে, বাজেটের আয়তন ও পরিমাণ বড় হচ্ছে। কিন্ত পুঁজিবাজারে মার্কেট ক্যাপিটাজাইশন বলতে শুধুমাত্র কিছু আইপিও আসছে, টোটাল ট্রেড ভলিউম একটা স্থবির অবস্থার মধ্যে আছে। এর জন্য অনেকগুলো কারণ আছে, কিন্ত আমি মনে করি সমস্যাগুলো খুব সাময়িক। মার্কেটে বিনিয়োগকারী ব্যাংকগুলো কেমন একটা দো-মনা অবস্থার মধ্যে আছে। ব্যাংকগুলো কি বিনিয়োগ কমিয়ে আনবে, নাকি বাড়াবে এই অবস্থায় আছে। ব্যাংকের বিষয় সাধারণত বাংলাদেশ ব্যাংক দেখে থাকে।

সরকারি শেয়ার বাজারে ছাড়ার বিষয়ে জোর দেওয়ার কথা বলেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা। ডিএসই সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুর রশিদ লালি বলেন, আমাদের যে মার্চেন্ট ব্যাংক আছে, ইস্যু ম্যানেজার আছে তাদেরকে সেই সকল কোম্পানীগুলোকে (সরকারি) বুঝাতে হবে। স্টক মার্কেটে গেলে কী রিবেট দিচ্ছে, কী লাভ হবে। বুঝিয়ে তাদের মার্কেটে আনতে পারলে বাজারের আকার বেড়ে যাবে।

তিনি আরো বলেন, এখানে স্টেক হোল্ডার যারা আছেন, ইস্যু ম্যানেজার যারা আছে তাদের একটা রোল প্লে করতে হবে। ঠিক সেই সময়ে যারা ব্রোকার আছেন, তারা তাদের বিনিয়োগকারীদের বুঝাতে হবে। বিনিয়োগকারীদের দেখাতে হবে যে, আপনাদের এটা করতে হবে বা আপনারা এই লাভ পাচ্ছেন।

গত বছরের মধ্য জুলাইয়ে ডিএসই’র মূলধন ছিলো ২ লাখ ৮৮ হাজার ৯ শ’ ২৭ কোটি টাকা। চলতি জুলাইয়ের মাঝামাঝি তা বেড়ে ৩ লাখ ৩০ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা হয়েছে।