বাঙালির গর্বের, গৌরবের মাস মার্চ। এই মাসেই ঘোষিত হয় বাঙালির স্বাধীনতা, বাংলাদেশ নামের একটি নতুন দেশের স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর ডাকে বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তির মরনপণ লড়াইয়ে। স্মৃতির মনিকোঠা থেকে ১৯৭১ এর মার্চের সেই দিনগুলোকে সবার কাছে তুলে ধরতে চ্যানেল আই সংবাদের আয়োজন, উত্তাল মার্চের এই দিনে।
নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান জানালেন, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া আলোচনায় বসতে চাইলে তার কোন আপত্তি নেই। তবে প্রেসিডেন্টকে বাঙালির আন্দোলনের দাবি পূরণে স্বদিচ্ছা দেখাতে হবে। তিনি শর্ত দেন আলোচনা হতে হবে দ্বিপাক্ষিক। কোন তৃতীয় পক্ষ উপস্থিত থাকতে পারবে না। বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা দাবি প্রত্যাখান করলেও তার সঙ্গে আলোচনার জন্য ঢাকা আসার আগ্রহ দেখান পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভূট্টো।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ এমন ছিলো যে, শুধু ইয়াহিয়া নয় পুরো পৃথিবীকে জানতে হবে বাংলাদেশের মাটির মধ্যে একটা নতুন অধিকার চলে এসেছে।
বাংলা থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে সম্পদ পাচার রোধ এবং সামরিক বাহিনীকে রসদ সরবরাহ বন্ধ করার লক্ষ্যে স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নির্দেশে এদিন ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে বসানো হয় চেকপোস্ট। পুরো শহর ছিলো স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নিয়ন্ত্রণে।
রেহমান সোবহান আরো বলেন, তখন সবই বন্ধ ছিলো এবং অর্থনীতি বন্ধ হয়ে যায়, তখন যদি বলে, ‘আমার কারখানা বন্ধ, শ্রমিকদের বেতন দেবো কীভাবে?’ তখন কেমন হবে। তখন সিভিল সার্ভিসের লোকদের সাথে বসতে হলো, ব্যবসায়ীদের সাথে বসতে হলো। তারপর আলোচনার মাধ্যমে ঐ দিনে কী অর্ডার দিতে হবে বন্ধবন্ধু তা দিতেন।
বাঙালিকে যে কোনো ত্যাগ স্বীকারের জন্য তৈরি থাকতে এবং শক্তি প্রয়োগ করা হলে সম্ভব সব উপায়ে তা প্রতিহত করার জন্য আহবান জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান।
অসহযোগ আন্দোলনের ধারায় ১৫ মার্চ পালনের জন্য ৩৫টি নতুন নির্দেশ দেন তৎকালীন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দিন আহমদ।