গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত ও ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত ‘পাপ পুণ্য’র মাধ্যমে এই প্রথম কোনো বাংলাদেশের ছবি উত্তর আমেরিকার ১১২ টি সিনেমা মুক্তি পেতে যাচ্ছে!
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র রপ্তানিতে এক ইতিহাস! মুক্তির আগে উত্তর আমেরিকার ১১২ টি হলে তালিকা জানিয়েছে উত্তর আমেরিকায় ‘পাপ পুণ্য’ মুক্তি দেয়া আন্তর্জাতিক পরিবেশক সংস্থা স্বপ্ন স্কেয়ার ক্রো।
প্রতিষ্ঠানটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আমেরিকার বিশ্ববিখ্যাত এএমসি, রিগ্যাল, সিনেমার্ক, হারকিন্স, শোকেইস চেইনে ২৫ টি স্টেট এর ১০৪ টি মাল্টিপ্লেক্সে মুক্তিপাচ্ছে ‘পাপ পুণ্য’।
স্টেটগুলো হল নিউ ইয়র্ক, নিউজার্সি, পেনসিলভেনিয়া, মেরিল্যান্ড, ভার্জিনিয়া, মিশিগান, কানেক্টিকাট, ম্যাসাচুসেটস, টেক্সাস, ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, অ্যারিজোনা, নেভাডা, ইউটাহ, ওহাইও, ইলিনয়, ইন্ডিয়ানা, ক্যানসাস, কলোরাডো, ওকলাহোমা, টেনেসি, লুইজিয়ানা, অরিগন এবং ওয়াশিংটন।
কানাডায় সিনেপ্লেক্স এন্টারটেইনমেন্ট এর চেইনে ৫টি প্রভিন্স অন্টারিও, ম্যানিটোবা, অ্যালবার্টা, ব্রিটিশকলাম্বিয়া, নোভাস্কোশিয়া এর ৮টি শহরের ৮টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ‘পাপ পুণ্য’।
স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো এর প্রেসিডেন্ট অলিউল্লাহ সজীব মনে করেন, বাংলাদেশের সিনেমার ইতিহাসে এটি যে একটি যুগান্তকারী ঘটনা।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বক্স অফিসে ভারতীয় সিনেমার এই যে দাপট, তার শুরুটা হয়েছিল কিন্তু অধিকসংখ্যক থিয়েটারে অধিক মানুষের কাছে তাদের সিনেমা নিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে।
সজীব বলেন, ‘পাপ পুণ্য’ মুক্তি পাচ্ছে এক যোগে কানাডার ৫টি প্রভিন্সের ৮টি শহর এবং আমেরিকার ২৫টি স্টেট এর ১০০ এর বেশি শহরে। এতে করে সিনেমাটি ২০মে থেকে আমেরিকা ও কানাডার মোটামুটি ১মিলিয়ন এর বেশি (বাংলাদেশের সিনেমার) দর্শকের দেখার সুযোগ হচ্ছে।
অলিউল্লাহ সজীব তার বক্তব্যএ বলেন, এটিই বাংলাদেশের সিনেমার উত্তর আমেরিকা অঞ্চলের (অলমোস্ট) টোটাল মার্কেট সাইজ। এ সংখ্যার কতজন আমাদের সিনেমা দেখতে ‘পাপ পুণ্য’ থেকেই থিয়েটারে যাওয়া শুরু করবেন তার উপর নির্ভর করছে কত দ্রুত আমরা পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম একটি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি হবার পথে এগিয়ে যাব।
‘এই ১ মিলিয়ন লোকের ১০ভাগের ১ ভাগ মানে মাত্র ১ লাখ দর্শক যদি নিয়মিত আমাদের সিনেমা দেখেন তাহলে শুধু কানাডা আর আমেরিকা থেকে আমাদের একেকটি সিনেমার গ্রসবক্স অফিস কালেকশন হবে ১ মিলিয়ন ডলারের উপর। সুপারহিট, ব্লকবাস্টার হিট হলেতো সংখ্যাটা ২মিলিয়ন ডলারে গিয়েও ঠেকতে পারে।’
‘মনপুরা’র বিশাল সাফল্যের পর গিয়াস উদ্দিন সেলিম ও চঞ্চল চৌধুরী জুটির ‘পাপ পুণ্য’ নিয়ে দর্শকদের বিশাল আগ্রহ রয়েছে বলে মনে করে প্রযোজনা সংস্থা। সেইসাথে এ সিনেমায় আছেন আফসানা মিমি, এই সময়ের ক্রেজ সিয়াম আহমেদ, নবাগত সুমিসহ একঝাঁক তারকা।
স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো বাংলাদেশ এর প্রধান নির্বাহী সৈকত সালাহউদ্দিন জানিয়েছেন, তাদের অফিসিয়াল পেজগুলোতে থাকছে উত্তর আমেরিকায় ‘পাপ পুণ্য’ সিনেমার ১১২ হলের তালিকা। ১৮ মে থেকে থিয়েটারগুলির ওয়েবসাইট পাওয়া যাবে শো-টাইম ও অগ্রিমটিকেট।
‘পাপ পুণ্য’ চলচ্চিত্রের ক্রিয়েটিভ প্রডিউসার এবং ইমপ্রেস টেলিফিল্ম এর ফিল্ম কনসালটেন্ট আবু শাহেদ ইমন জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে দেশের প্রেক্ষাগৃহের তালিকা প্রকাশ করা হবে।