উত্তরাঞ্চলের বেশিরভাগ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে করতোয়ার পানি বেড়ে অবনতি হয়েছে গাইবান্ধার বন্যা পরিস্থিতির। সেখানে বন্ধ হয়ে গেছে ১০৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি একটু একটু কমতে শুরু করেছে। তবে এখনো পানিবন্দী রয়েছেন জেলা সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার ৩৫ ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ। এসব এলাকায় চলছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছে।
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও তিস্তার পানি নামতে শুরু করেছে। তবে নিম্নাঞ্চলের মানুষ এখনো ঘরে ফিরতে পারেননি। চলছে খাবার পানি ও খাদ্যের সংকট।
বগুড়ায় যমুনার পানি কমতে শুরু করেছে। সঙ্গে বেড়েছে পানিবাহিত রোগ। জামালপুরে যমুনার পানি কমলেও এখনো বিপদসীমার ২৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মাদারগঞ্জ ও সরিষাবাড়ি উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা এখানো পানির নিচে।
গাইবান্ধায় পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। করতোয়ার পানি বেড়ে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, দরবস্ত, তালুক কানুপর, ফুলবাড়ীসহ বেশ কিছু ইউনিয়নের পরিস্থিতির অবনতির দিকে।