১৯৯৯ সালের ১ অক্টোবর যাত্রা শুরু করে চ্যানেল আই। দুই বছর পর এদিন চালু হয় সংবাদ। আর ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল যাত্রা শুরু করে চ্যানেল আই অনলাইন। ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের তালিকায় চ্যানেল আইয়ের আগে-পরে অনেক অনেক প্রতিষ্ঠানের নাম যুক্ত হয়েছে। কেউ কেউ আবার হারিয়ে গেছে। চ্যানেল আই দায়িত্বশীল গণমাধ্যম হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে নিজের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। যার দৃশ্যমান উদাহরণ তেজগাঁয়ে চ্যানেল আই ভবন। এ প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করে সিদ্ধেশ্বরীর একটি ফ্ল্যাট বাড়ীতে। কেবল অবকাঠামো না, দিনে দিনে যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন অনুষ্ঠান, নতুন নতুন আইডিয়া, নতুন নতুন প্রযুক্তি। এসব প্রচেষ্টাই দিনে দিনে চ্যানেল আইকে অনন্য করে তুলেছে। চ্যানেল আইয়ের নিজস্বতা আছে। এই টেলিভিশনের অনুষ্ঠান দেখে দর্শক বুঝতে পারেন এটি চ্যানেল আইয়ের অনুষ্ঠান। এই বৈশিষ্ট্য চ্যানেল আই একদিনে তৈরী করেনি। এটি করতে সময় লেগেছে। ‘হৃদয়ে বাংলাদেশ’ শ্লোগানের মতো চ্যানেল আই সব জায়গায় বাংলাদেশকেই ব্রান্ডিং করে। নাটক, সংবাদ, সঙ্গীত, অনুষ্ঠান এমনকি অনুষ্ঠানের সেটেও থাকে বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। চ্যানেল আই এর সংবাদের আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে। এখানে সবার আগে ভুল ব্রেকিং না দিয়ে সঠিক সংবাদটা দিতে চায় চ্যানেল আই। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ দিতে চায়। সংবাদ প্রচারে দায়িত্বশীল থাকতে চায়। দেশের প্রতি দায়িত্বশীল, নাগরিকদের প্রতি দায়িত্বশীল চ্যানেল আই। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ দিয়ে মানুষকে সচেতন করতে চায় চ্যানেল আই। আবার বিস্তারিত সংবাদ প্রচারে চ্যানেল আই কখনোই কারো দ্বারা প্রভাবিত হয় না। চ্যানেল আই মানুষকে সম্মান দিতে পছন্দ করে। সমাজের বিভিন্ন সেক্টরে অবদান রেখেছেন যারা তাদেরকে অভিভাবক হিসেবে সম্মানিত করা সামাজিক দায়িত্ব মনে করে চ্যানেল আই। বিশিষ্টজনরাও চ্যানেল আইয়ের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে সম্মানিত বোধ করেন। ‘হৃদয়ে বাংলাদেশ’কে ধারণ করে ১৯ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে কোটি মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছে প্রথম ডিজিটাল বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল চ্যানেল আই। দিনশেষে মানুষকে সবার উপরে রেখে দেশের জন্য আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার অঙ্গীকার করে চ্যানেল আই। শুরু থেকেই এ অঙ্গীকার ছিল, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। এটাই একটি প্রকৃত গণমাধ্যমের চরিত্র হওয়া উচিত।