২০৪০ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ দেশ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা উচ্চাভিলাষী হলেও দেশ যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তার ধারা অব্যাহত থাকলে অর্জন সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
সোমবার রাতে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে সেরা করদাতাদের ট্যাক্স কার্ড ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১০ সালে ক্ষমতায় এসে আমরা টার্গেট করেছি মধ্যম আয়ের দেশ হতে। ২০১৫ সালের মধ্যেই আমরা তা অর্জন করেছি। এখন টার্গেট ২০৪০ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ দেশ হওয়া। এ লক্ষ্যমাত্রা উচ্চাভিলাসী। তবে দেশ যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তার ধারা অব্যাহত থাকলে অর্জন সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সরকার ১০ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। এই ১০ বছরে দেশের বাজেটের আকার বাড়লেও স্থানীয় সম্পদের জোগান সে হারে বাড়েনি। এখনও ১৪ শতাংশের মধ্যে রয়ে গেছে। আমরা চেষ্টা করছি এটা ২৩ থেকে ২৪ শতাংশে উন্নীত করতে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নির্বাচনের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে, যে গতিতে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে তার ধারা অব্যাহত রাখা। এটা নিশ্চিত করবেন ভোটাররা।“
‘‘আমি আশা করছি ভোটাররা তাদের নিজের পায়ে কুড়াল মারবেন না। তারা আমাদেরকেই নির্বাচনে বেছে নেবেন। কারণ গত ১০ বছরে আমরা যত প্রতিজ্ঞা করেছি তার থেকে অর্জন আরো অনেক বেশি।’’
তিনি বলেন, আমি ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল দেশ দেখছি। কারণ দেশে দারিদ্র্য থাকবে না। যারা পিছিয়ে রয়েছে তাদের এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সরকার। যদিও ফসলি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে তবুও উৎপাদন ৪ গুণ বেড়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
করদাতাদের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আজ আমরা ২০২ জন করদাতাকে সম্মাননা দিতে একত্রিত হয়েছি। যারা রাষ্ট্রকে চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় তেল (অর্থ) সরবরাহ করছেন।
অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, একই ব্যক্তির উপর যেন বার বার করের বোঝা চাপানো না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার।
দেশকে এগিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়ায় ব্যবসায়ীদের অনেক অবদান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এনবিআর যেন ঝামেলা ও হয়রানিমুক্ত থাকে। সেখানেও যেন জবাবদিহিতার বিষয়গুলো থাকে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে ২০২ জন করদাতার হাতে ট্যাক্সকার্ড ও সম্মাননা তুলে দেন অর্থমন্ত্রী।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।