সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৫০০ মিটার উচ্চতায় ফুটবলারদের বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিত লা পাজের হার্নান্দো সাইলস স্টেডিয়ামে ফুটবলের পাশাপাশি মেসি-মার্টিনেজদের ফুসফুসের পরীক্ষার নেয়ার অপেক্ষায় ছিল বলিভিয়া। পরীক্ষায় উতরে গেছে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে উচ্চতা ও লা ভার্দেদের হারিয়ে ফিরছে আলবিসেলেস্তেরা।
লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে মঙ্গলবার রাতে বলিভিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। প্রায় ১৫ বছর পর দেশটির মাটিতে জয়ের দেখা পাওয়া মেসিরা টানা নয় ম্যাচে অপরাজিত থাকল।
লা পাজে খেলতে গেলে অতিথি ফুটবলারদের সবার আগে চিন্তায় আসে নিজেদের ফুসফুস বাঁচানোর কথা! বিশাল উচ্চতার এ শহরে নিজেদের সাধারণ খেলাতো দূরের কথা, অক্সিজেনের অভাবে খেলোয়াড়রা করতে থাকেন হাঁসফাঁস।
এই কারণে বলিভিয়ানদের নামে আড়ালে আবডালে ‘ফুসফুসখেকো’ বলে একটা কুখ্যাতি তৈরি হয়ে গেছে! মাঠে খেলা বাদ দিয়ে অক্সিজেন নেয়ার জন্য ফুটবলারদের দৌড়াদৌড়ি এখানে সাধারণ এক বিষয়।
ব্রাজিলের কাছে ৫-০ গোলে হেরে বিশ্বকাপ বাছাই শুরু করা বলিভিয়া সেখানে শুরুতে এগিয়েও যায়। মার্সেলো মোরেনো স্বাগতিকদের লিড এনে দেন ম্যাচের ২৪ মিনিটে।
আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি ম্যাচের আগেরদিন বলেছিলেন এই মাঠে হার এড়ানোই হবে জয়ের সমান। ঘরের মাঠে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক বলিভিয়া তো হারানোর চাপেই ফেলে দেয় তার দলকে। গুছিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগে মেসিদের।
ধীরে ধীরে লাগাম টানতে থাকে আর্জেন্টিনা। কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া হয়। প্রথমার্ধের শেষ সময়ে আসে সাফল্যও। সমতা ফেরানো গোলটি করেন লৌতারো মার্টিনেজ।
মধ্যবিরতির পর ফিরেও ভালো খেলার ধারা ধরে রাখে অতিথিরা। মেসির একটা ফ্রি-কিক বারে বাতাস দিয়ে চলে যায়। মার্তিনেজ প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে একা পেয়েও সুযোগ হাতছাড়া করেন। খানিক বাদে মেসির ক্রসের পর গোলরক্ষককে আবারও একা পেয়ে একইভাবে জাল খুঁজে নিতে পারেননি তিনি।
আর্জেন্টিনা তখন জয়সূচক গোলের জন্য মরিয়া। সেটির দেখা মেলে ৭৯ মিনিটে। মেসির বানিয়ে দেয়া বল মার্তিনেজের পা ঘুরে বদলি জোয়াকুইন কোরেয়ার কাছে যায়। জালে জড়াতে ভুল করেননি তিনি। জয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।