কোনো দায় না থাকার পরও ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের জেরে একের পর এক আসরে নিষেধাজ্ঞায় পরতে হচ্ছে রাশিয়া ও বেলারুশের ক্রীড়াবিদদের। সবশেষ উইম্বলডন টেনিসেও নিষেধাজ্ঞায় পরেছে দেশ দুটির তারকারা। যাকে ‘অন্যায়’ বলছে রেকর্ড ২১ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী কিংবদন্তি রাফায়েল নাদাল।
উইম্বলডনে নিষেধাজ্ঞার ফলে আসরটিতে অংশ নিতে পারবেন না র্যাঙ্কিংয়ের ২০ এ থাকা ৫ জন টেনিস তারকা। যাদের মধ্যে র্যাঙ্কিংয়ের দুইয়ে থাকা ড্যানিল মেদভেদেভ ও গত বছরের নারী সেমিফাইনালিস্ট বেলারুশের আরিনা সাবালেঙ্কা রয়েছে। ফলে নিশ্চিতভাবেই জৌলুস হারাবে উম্বলডন। যা সহজ ভাবে নিতে পারছেন না স্প্যানিশ কিংবদন্তি নাদাল।
‘রুশ সহকর্মীদের সাথে অন্যায্য করা হচ্ছে। ইউক্রেনে এই মুহূর্তে যা ঘটছে তা তাদের দোষ নয়। আমি তাদের জন্য দুঃখিত। আমি আশা করিনি এমন হবে, কিন্তু দিন শেষে এটিই পরিণতি।’
পাঁজরের চোটে পরায় ছয় সপ্তাহ বিশ্রাম নিয়ে উইম্বলডনের এবারের আসরে অংশ নিতে যাচ্ছেন দুই বারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন নাদাল। সেই সাথে পাশে দাঁড়িয়েছেন রুশ ও বেলারুশ টেনিস তারকাদের।
‘একজন সহকর্মী হিসেবে আমি তাদের জন্য দুঃখিত। দেখা যাক আগামী সপ্তাহে কি হয় এবং আমাদের অবস্থান নেওয়া দরকার কিনা। তবে যখন একটি সরকার কোনো আদেশ দেয়, আপনাকে তা অনুসরণ করতে হবে।’
এর আগে এক প্রতিক্রিয়ায় সার্বিয়ান তারকা নোভাক জোকোভিচ জানান, তিনি উইম্বলডনের সিদ্ধান্তে খুশি নন। আলোচনার মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়ার উপায় খোঁজে বের করায় মত ২০ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ীর।
‘এটি আমার সাথে ঘটা একই জিনিস নয়, তবে এই বছরের শুরু থেকেই এসবের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, আসরে তাদের নিষেধাজ্ঞায় পরার খবর হতাশাজনক। আমি এখনও আমার অবস্থানে অটল। এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করি না। যা ঠিক নয়, তাই হচ্ছে।’