খেলা ৪০ ওভারের, দুদল মিলে খেলল মোটে ২২.২ ওভার। তাতেই ১৪ উইকেটের পতন। পুরো ওয়েস্ট ইন্ডিজ মিলে তুলতে পারল ৫৫ রান। টপকাতে ঘাম ছুটল ইংল্যান্ডের! টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের প্রথমদিনে ছোট ফরম্যাটের দুবারের চ্যাম্পিয়ন ও ওয়ানডে চ্যাম্পিয়নের লড়াইয়ে দেখা মিলল এমন ব্যাটিংয়ের।
শুক্রবার দুবাইয়ে শুরুতে ব্যাট করে ১৪.২ ওভারে গুটিয়ে যাওয়ার সময় উইন্ডিজ সংগ্রহ করতে পারে কেবলমাত্র ৫৫ রান। জবাব দিতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ৮.২ ওভারে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ইংল্যান্ড।
লেন্ডল সিমন্স ৩, এভিন লুইস ৬, ক্রিস গেইল ১৩, সিমরন হেটমায়ার ৯, ডোয়াইন ব্রাভো ৫, নিকোলাস পুরান ১, অধিনায়ক কাইরেন পোলার্ড ৬, আন্দ্রে রাসেল শূন্য- ক্যারিবীয়দের এক থেকে আট নম্বর ব্যাটারের নাম ও অবদান দেখলেই বোঝা যায় কতটা বিপর্যস্ত ছিল ব্যাটিং প্রদর্শনী।
উইন্ডিজ ব্যাটাররা একের পর এক বড় শটের পিছে ছুটেছেন, একের পর একজন ক্যাচ তুলে সাজঘরে হাঁটা দিয়েছেন, তবুও থামেনি শট খেলার ব্যয়বহুল বিলাসী প্রতিযোগিতা। উইকেট ছুঁড়ে আসার মিছিলে যাওয়ার যেন তাড়া ছিল তাদের!
বৈশ্বিক আসরে এই প্রথম ১০০-এর নিচে থামল উইন্ডিজ। টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড তো হয়েছেই তাদের। সবমিলিয়ে নেদারল্যান্ডসের ৩৯ ও ৪৪ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর বিশ্বকাপ ইতিহাসের তৃতীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ এটি।
বিপরীতে ইংলিশ বোলাররা ছিলেন দুর্দান্ত লাইন-লেন্থে। ম্যাচসেরা মঈন আলি ৪ ওভারে এক মেডেনে ১৭ রানে ২ উইকেট নিয়ে পথ দেখান। ক্রিস ওকস ১২ রানে ১ উইকেট। টায়মাল মিলস ৪ ওভারে ১২ রানে ২ উইকেট। ক্রিস জর্ডান ২ ওভারে ৭ রানে ১ উইকেট নিয়ে তাকে সঙ্গ দেন।
শেষে এসে লেগ স্পিনার আলিদ রশিদ ধারণ করেন রুদ্রমূর্তি, ২.২ ওভারে ২ রানে ৪ উইকেট তুলে নেন। আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে সবচেয়ে কম রান দিয়ে ৪ বা ততোধিক উইকেট নেয়ার রেকর্ড এটি। ২ রানে চার উইকেট আছে স্টিভ টিকোলোর, কেনিয়ার সাবেক অবশ্য ১ ওভার বল করে এই কীর্তি গড়েছিলেন।
উইন্ডিজের বিপক্ষে জর্ডানের ৬ রানে ৪ উইকেটের রেকর্ড ভেঙে টি-টুয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের সেরা বোলিং ফিগারের কীর্তিও এখন রশিদের দখলে এসে গেল।
জবাব দিতে নেমে জেসন রয় ১১, জনি বেয়ারস্টো ৯, মঈন ৩, লিয়াম লিভিংস্টোন ১ রানে ফিরে গেলে ম্যাচ শেষ করে আসেন জস বাটলার ও ইয়ন মরগান। বাটলার অপরাজিত ২৪ ও অধিনায়ক মরগান অপরাজিত ৭ রানে জয়ে নোঙর ফেলান।