জিততে বিশ্বকাপের রেকর্ড গড়তে হত। ওয়েস্ট ইন্ডিজ গেল তার কাছাকাছিই। খুব কাছে থেকে তাদের ফিরিয়ে দিলো শ্রীলঙ্কা। সোমবার ২৩ রানের দারুণ এক জয়ে পয়েন্ট টেবিলের ছয়ে উঠে এসেছে করুনারত্নের দল।
বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড আয়ারল্যান্ডের। ২০১১ আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ইংলিশদের দেয়া ৩২৮ রানের চ্যালেঞ্জে ৩২৯ রান করে রেকর্ড গড়েছিল আইরিশরা। উইন্ডিজকে জিততে হলে সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন অধ্যায় লিখতে হত।
ডারহামের চেস্টার-লি-স্ট্রিটে শুরুতে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে ৩৩৮ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেটে ৩১৫ রানে আটকে যায় উইন্ডিজ।
একরকম নিয়মরক্ষার ম্যাচ। শ্রীলঙ্কার সুযোগ পয়েন্ট টেবিলে কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার, সেমির স্বপ্ন কাগজে-কলমে থাকলেও অবশ্য ধূসর। সেখানে উইন্ডিজের কাজটা এক-আধটু জয়ে সম্মান কিছুটা বাড়িয়ে বাড়ির বিমানে ওঠা, বিশ্বকাপ যে অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে তাদের।
এমন ম্যাচে রেকর্ড গড়ার লক্ষ্য। উইন্ডিজ গেল অনেকটা পথ। স্কোর দেখে যেমন মনে হবে, বড় রানের জবাবে অবশ্য শুরুটা তেমন আশাজাগানিয়া হয়নি তাদের। হাত খুলতে না খুলতেই সাজঘরে আমব্রিস ৫ ও হোপ ৫ রানে।
পরে গেইল ৩৫ আর হেটমায়ারের ২৯ রানে খানিক লড়াইয়ে ফেরার আভাস। হোল্ডার ২৮ ও ব্র্যাথওয়েট ৮ রানে ফিরে তাতে জল ঢেলে দেন।
উইন্ডিজের লড়াইটা শুরু সেখান থেকেই। নিকোলাস পুরান ও ফ্যাবিয়ান অ্যালেন ৮৩ রানের একটা জুটিতে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন। ৭ চার ও এক ছক্কায় ৩২ বলে ৫১ করে রানআউটে অ্যালেন কাটা পড়লে আবারও ধাক্কা।
পুরান আরও কিছুক্ষণ থাকলেন। কিন্তু ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটা দিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নোঙর করাতে পারেননি। ৪৮তম ওভারের প্রথম বলে ম্যাথুজ তাকে পেরেরার ক্যাচ বানালে ক্যারিবীয় আশার পালও ফুটো হয়ে যায়।
ফেরার আগে ১১ চার আর ৪ ছক্কায় ১০৩ বলে ১১৮ রানের ক্যারিবীয়সুলভ ঝলমলে ইনিংস উপহার দিয়েছেন পুরান।
তিন উইকেট নেয়া মালিঙ্গা শুরুতে ধাক্কা দিয়েছিলেন জোড়া আঘাতে, পরে লেজও মুড়িয়ে দিতে চেষ্টা করেন।
এর আগে করুনারত্নে ৩২, কুশল পেরেরা ৬৪, মেন্ডিস ৩৯, ম্যাথুজ ২৬, থিরিমান্নের অপরাজিত ৩৩ বলে ৪৫ এবং আভিস্কা ফার্নান্দোর ১০৪ রানের ইনিংসে বড় সংগ্রহ গড়ে শ্রীলঙ্কা। বোলাররা যেটিকে জয়ে রূপ দিলেন।