মাশরাফি নির্ধারিত সময়ের কিছু পরে সংবাদ সম্মেলনে ঢোকেন। এজন্য উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন। উইকেট পরখ করতে করতেই তার দেরি হয়ে যায়। তবু শেষ পর্যন্ত বুঝতে পারেননি শুক্রবারের উইকেট কেমন হবে।
এখন পর্যন্ত সব ম্যাচের উইকেট ব্যাটিং সহায়ক হয়েছে। বাংলাদেশ তাই বেশি বেশি ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলেছে। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আবার পেস সহায়ক হতে পারে। বুধবার বিকেল পর্যন্ত উইকেটে ঘাস দেখা গেছে। মাশরাফি সংবাদ সম্মেলনে বললেন, ম্যাচের দিন সকালে এই ঘাস থাকবে কি না, সেটা বুঝতে পারছেন না।
‘উইকেটে ঘাস দেখেছি। ঘাস থাকবে কি না বোঝার উপায় নেই। খেলার দিন সকালে অনেক সময় ঘাস কেটে ফেলা হয়। উইকেটের উপর নির্ভর করে আমরা একাদশ সাজাবো।’
শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড। দুই দলের জন্যই ম্যাচটি বাঁচা-মরার। বাংলাদেশ জিতলেও সেমিতে যেতে তাকিয়ে থাকতে হবে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের দিকে। অজিরা হারলেই সেমিতে যাওয়া হবে।
অত সব সমীকরণ দূরে রেখে মাশরাফি বলছেন শেষ ভালো দিয়েই শেষ করতে চান, ‘এই কন্ডিশনে এসে বাংলাদেশ সব ম্যাচ জিতবে, সেটা ভাবা ভুল হবে। সামনের ম্যাচটা যদি জয় দিয়ে শেষ করতে পারি, তাহলে ট্যুরটা ভালো যাবে।’
ব্যাটসম্যানদের আরও দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে বলেও মনে করেন অধিনায়ক, ‘ব্যাটিংয়ে যদি আমরা আরেকটু দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারি, তাহলে ভালো করতে পারবো।’
এখন পর্যন্ত জয় না পেলেও ছেলেরা ভেঙে পড়েনি বলে জানালেন মাশরাফি, ‘দল এই মুহূর্তে এক্সাইটেড। আমরা জানতাম যে গ্রুপে পড়েছি, তাতে তিনটি ম্যাচেই হারতে পারি। কন্ডিশনসহ সবকিছু আমাদের বিপক্ষে।’
বাংলাদেশ খুব একটা ৩০০ রান করতে পারে না। দুএকটি ম্যাচে সেটা হয়ে গেলেই ‘অনেক-কিছু’ মনে হয়। মাশরাফি বলছেন নিয়মিত এই অভ্যাস করতে হবে।
‘নিয়মিত ৩০০ করার অভ্যাস করতে হবে। আমরা সাধারণত ৩০০ করি না। এটা করলেই অনেক কিছু মনে হয়। নিয়মিত এখন ৩০০ করার মানসিকতা দেখাতে হবে।’