সিলেট থেকে: বাংলাদেশের জার্সিতে টি-টুয়েন্টি ও ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছিল ২০১৪ সালে। কিন্তু পায়ের তলায় মাটি খুঁজে পেয়েছেন ২০১৮’র এশিয়া কাপে। বিপর্যয়ের মুখে ষাটোর্ধ্ব রানের দুটি ইনিংস খেলে মোহাম্মদ মিঠুন জানান দিয়েছেন সক্ষমতার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও খারাপ করেননি। প্রথমবারের মতো জায়গা পেয়েছেন টেস্ট দলে। ধৈর্য পরীক্ষার মঞ্চে এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান খেলতে চান সহজাত খেলাটাই।
মিডলঅর্ডারে ব্যাট করলেও উইকেটে নেমে মিঠুনের দ্রুত রান তোলার ক্ষমতা দৃষ্টিগোচর হয়েছে ওয়ানডে সংস্করণে। টেস্টেও রানকেই প্রাধান্য দিতে চান প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১২টি সেঞ্চুরি ও ২৪টি ফিফটি করা এ ব্যাটসম্যান। বুধবার অনুশীলন না থাকায় টিম হোটেলে বসে মিঠুন জানালেন টেস্টের ব্যাটিং নিয়ে নিজস্ব ভাবনার কথা।
‘টেস্ট ফরম্যাটটাই তো সময় নিয়ে খেলার। প্রত্যেক খেলোয়াড়ের স্বপ্ন থাকে। একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে আমারও পরিকল্পনা থাকবে সময় নিয়ে খেলার। কিন্তু দিনশেষে রানটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি উপলব্ধি করি একটা ব্যাটসম্যান উইকেটে যত সময়ই কাটাক, তার যদি রান না হয় সে কিন্তু সেট না। আমি যেটা চেষ্টা করি। অবশ্যই উইকেটে সময় নেব, কিন্তু বাজে বলটা পানিশ করব। তাহলে চাপটাও কমে যায়। অবশ্য কঠিন পরিস্থিতি হলে তো আমাকে টিকে থাকর চেষ্টা করতেই হবে। কিন্তু যেয়ে যদি দেখি স্কোর করার সুযোগ আছে, চেষ্টা করব রান করতে।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই টেস্ট দলে জায়গা হয়ে যাবে সেটি ভাবেননি মিঠুন। তবে স্বপ্ন ছিল টেস্ট খেলার। সেটি পূরণ হলে নিজেকে পরিপূর্ণ ক্রিকেটার হিসেবে ভাবতে পারবেন বলে জানালেন ২৭ বছর বয়সী এ ক্রিকেটর।
‘আমারও স্বপ্ন ছিল টেস্ট ম্যাচ খেলব। যদিও এটা হয়ে যাবে আমিও আশা করিনি। পেপারে যখন দিল, পেপার খুব একটা দেখা হয় না, কিন্তু তখনো জানি না। একজন সাংবাদিকই আমাকে ফোন করে খবরটা দেন যে টেস্ট স্কোয়াডে আছি। আমার মনে হয় যে, খেলোয়াড় হিসেবে যদি টেস্ট খেলতে পারি তখনই পরিপূর্ণতা আসবে। টেস্ট ক্রিকেটে যখন সফল হবো, তখনই মনে হবে আমি ক্রিকেটের জন্য ফিট। আমারও স্বপ্ন ছিল, যদি সুযোগ পাই কাজে লাগানোর চেষ্টা করবো।’