দিল্লী ক্যাপিট্যালসের প্রথম ম্যাচের একাদশে ছিলেন না মোস্তাফিজুর রহমান। দ্বিতীয় ম্যাচে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে পান ৩ উইকেট, ম্যাচ জিতেছিল দিল্লী। এরপর তৃতীয় ম্যাচে বোলিংয়ে রান তেমন না দিলেও থাকলেন উইকেটশুন্য, দিল্লীও হেরে বসল।
বৃহস্পতিবার রাতে ডিহোয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে হওয়া ম্যাচে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ৬ উইকেটে হেরেছে দিল্লী ক্যাপিট্যালস।
টসে হেরে আগে ব্যাট করা দিল্লী ৩ উইকেটের বেশি না হারালেও স্কোরবোর্ডে ১৪৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি। জবাবে লক্ষ্ণৌ ২ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
দিল্লী ক্যাপিট্যালস: ১৪৯/৩ (২০ ওভার), ১৫৫/৪ (১৯.৪ ওভার) (লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস ৬ উইকেটে জয়ী)
দিল্লীর ওপেনার পৃথ্বী শ ৩৪ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৬১ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে দিল্লিকে বড় স্কোরের দিকেই নিচ্ছিলেন। তবে বাকি ব্যাটাররা সেভাবে রানএর গতি বাড়াতে পারেননি। ডেভিড ওয়ার্নার কেবল ৪ রান করে আউট হন। রোভম্যান পাওয়েল করেন ৩ রান।
রিশভ পান্ট ৩৯ রানে অপরাজিত থাকলেও বল খেলেন ৩৬টি। সারফারাজ খান করেন ৩৬ রান, বল খেলেন ২৮টি। এই দুই ব্যাটার টি-টুয়েন্টি সুলভ ব্যাটিং না করাতেই দিল্লি বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি।
লক্ষ্ণৌর হয়ে ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ২ উইকেট পান রবি বিষ্ণোই। একটি উইকেট পান কৃষ্ণাপ্পা গৌথাম।
অধিনায়ক লোকেশ রাহুলকে নিয়ে ওপেনিং জুটিতে লক্ষ্ণৌকে ৭৩ রান এনে দেন কুইন্টন ডি কক। রাহুল ২৫ বলে ২৪ রান করে ফিরলে জুটি ভাঙে। এভিন লুইস করেন ৫ রান।
দলীয় ১২২ রানের মাথায় কুলদ্বীপ যাদবের বলে ফেরেন আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করা ডি কক। ৫২ বলে তিনি ৯ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৮০ রান। দীপক হুদা ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন। লক্ষ্ণৌকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান ১৯ রান করা ক্রুনাল পান্ডিয়া ও ৩ বলে এক চার ও এক ছক্কায় ১০ রান করা আয়ুষ বাদোনি।
কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। কুলদ্বীপ যাদব নেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পান ললিত যাদব ও শার্দুল ঠাকুর।