বিপদে আপদে চলচ্চিত্রের যেকোনো শিল্পীদের পাশে সর্বদা তাকে পাওয়া যায়। সুবিধাবঞ্চিত কিংবা অসচ্ছ্বল শিল্পীদের পাশে একজন যোগ্য সংগঠক হিসেবে পাশে থাকেন। গত এক বছরে করোনাকালীন কয়েক দফায় অসহায় শিল্পীদের সহায়তার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। পৌঁছে দিয়েছেন নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী থেকে শুরু করে আর্থিক অনুদান!
হোক তা পরিমাণে অল্প, কিন্তু করোনার এই করুণ সময়ে সামর্থবানদের থেকে সহায়তা এনে অসহায়দের সমর্থনের এই উদ্যোগ- প্রশংসা করছেন খোদ শিল্পীরাই।
বলছি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের কথা।
তবে সাংগঠনিক কাজের বাইরে ব্যক্তি জায়েদ খানেরও সামাজিক কাজ কর্মে যুক্ত থাকার বিষয়টি নতুন নয়। নিজ উদ্যোগে ‘সাপোর্ট’ নামের ব্যানারেও নিজ এলাকার পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন স্তরের সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের সহায়তা করেন এই চিত্রনায়ক!
এবারের ঈদেও জায়েদ খান ছুটে গেলেন এক অনাথ আশ্রমে। সংগঠক হিসেবে নয়, একেবারে নিজস্ব উদ্যোগে। ঈদের বিকেলে রাজধানীর উত্তরার ‘ফ্যামিলি ফর চিলড্রেন’ (এফএফসি) নামের অনাথ আশ্রমে কাটালেন ঈদের বিকেল-সন্ধ্যা। যেখানে অনাথ শিশুদের সাথে বাস বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদেরও।
তাদের সবার জন্য ঈদ উপহারের পাশাপাশি জায়েদ খান নিয়ে গেছেন রজনীগন্ধ্যা, চিপস ও চকলেট। সব শিশুদের দিয়েছেন ঈদ সালামি। জায়েদ খান বললেন, ‘এ এক অন্য অনুভূতি! পবিত্র অনুভূতি। এতো অল্পতেই শিশুদের যে আনন্দ আর উল্লাস দেখে এসেছি, তা যে কারো প্রাণশক্তি বাড়িয়ে দিবে’।
বাবাকে ছাড়া এটাই প্রথম ঈদ জায়েদ খানের। গেল বছরের ডিসেম্বরে বাবাকে হারিয়েছেন এই অভিনেতা। তাই এবারের ঈদটি অন্যরকমভাবে কাটাতে চাওয়ার পরিকল্পনা থেকেই বেছে নিলেন অনাথ ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সঙ্গ! চ্যানেল আই অনলাইনকে এমনটাই জানালেন জায়েদ।
ঈদের দিন বলেই বাবাকে হারানোর বেদনা আরো বেশী করে টের পেয়েছেন জায়েদ। জানালেন, সবার সাথে ঈদ আনন্দ উদযাপন করলেও কোথায় যেন বাবার শুন্যতা ছুঁয়ে যাচ্ছিলো তাকে। মাথার উপর একজন অভিভাবক যে কতো গুরুত্বপূর্ণ, এদিন হারে হারে টের পেয়েছেন ‘অন্তর জ্বালা’ ছবির এই নায়ক। তাই ঈদের এরকম আনন্দের দিনেও বাবার শোকের কথা মাথায় রেখে গায়ে জড়িয়েছিলেন কালো রঙের পাঞ্জাবী!
জায়েদ আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিকেল থেকে সন্ধ্যা রাত পর্যন্ত ছিলাম এফএফসির সেইসব শিশুদের সাথে। এক ধরনের মিতালি হয়ে গিয়েছিলো যেন তাদের সাথে। দারুণ সময় কাটিয়ে স্বর্গীয় অনুভূতি নিয়ে ঘরে ফিরেছি। আমার আহ্বান থাকবে সমাজের বিত্তবানদের প্রতি, তারা যেন তাদের আশপাশের সুবিধাবঞ্চিত, অনাথ এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের পাশে দাঁড়ান।