করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে এবার ঈদের নামাজ শেষে কোলাকুলি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
রোববার করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ আহ্বান জানান।
এছাড়া কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে ঈদের জামাতে শরিক হওয়ার জন্যও তিনি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আগামীকাল (সোমবার) ঈদুল ফিতর। আমরা দেখতে পাচ্ছি অনেকে ইতোমধ্যে শহর ছেড়ে গ্রামে গেছেন এবং এখনও যাচ্ছেন। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বিশেষভাবে অনুরোধ থাকবে, সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। সব ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলবেন। কমপক্ষে ৩ ফুট সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদের জামাতে শরিক হবেন। সব মুসলিম ভাইয়ের প্রতি অনুরোধ, ঈদে কোলাকুলি থেকে বিরত থাকবেন।
নাসিমা সুলতানা বলেন, শিশুদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখবেন। ঈদের আনন্দ উচ্ছ্বলতার কারণে তারা যেন ঝুঁকির সম্মুখীন না হয়। অবশ্যই শিশুসহ সবাইকে নিয়ম অনুযায়ী মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে সাবান পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুয়ে নেবেন। বাইরের খোলা খাবার খাবেন না।
করোনাভাইরাস নাক-মুখ ও চোখের মধ্যদিয়ে শরীরে প্রবেশ করে। তাই নিজের হাতের প্রতিও সজাগ থাকবেন। অযথা নাক, মুখ ও চোখে হাত দেবেন না। শিশুদের এ বিষয়ে সচেতন করবেন। মনে রাখবেন, করোনাভাইরাস বিষয়ে সচেতনতা, সতর্কতা ও নিয়ম মেনে চলাই আপনাকে সুরক্ষিত রাখতে পারে।
করোনায় আক্রান্তদের পরামর্শ উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন, তারা আইসোলেশনের নিয়মগুলো মেনে চলবেন। পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করবেন। পানি ও তরল খাবার বেশি করে খাবেন। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন- লেবু, কমলা, মালটা, পেয়ারা ও অন্যান্য টাটকা শাক-সবজি খাবেন। জিঙ্কসমৃদ্ধ খাবার খান। ডিম, মাংস, কুমড়া ও লাউয়ের বীজ, পালংশাক, মাশরুম, রসুন, দুধ ও দুগ্ধজাত থেকে জিঙ্ক পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে খাবারের পাশাপাশি মনোবলও চাঙা রাখতে হবে। হালকা ব্যায়াম ও ফুসফুসের ক্ষমতাকে কার্যকর রাখতে ফুসফুসের ব্যায়ামও করতে হবে।